সংক্ষিপ্ত
- মুম্বইতে ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেল এক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
- নাগপুর থেকে জ্বালানি ভরানোর পর মাঝ আকাশে চাকা হারায়
- বেলি ল্যান্ডিং করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি
- বাগডোগরা থেকে ছেড়েছিল বিমানটি,
বিপদের মাঝে বিপদ। মুম্বইতে ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেল এক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। গত বৃহস্পতিবার নাগপুর থেকে জ্বালানি ভরিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাঝ আকাশেই একটা চাকা খুলে যায়। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বাগডোগরা থেকে ছেড়েছিল, নাগপুর সেটি নামে জ্বালানি ভরাতে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন এক রোগী। ল্যান্ডিংয়ের সময় ল্যান্ডিং গিয়ার অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়। কিন্তু সেই বিমানের সামনের চাকাটি মাঝ আকাশে খুলে পড়ে য়ায়। যে কোনও বিমানের ল্যান্ডিং বেশ কঠিন বিষয় সেখানে একটা চাকা না থাকা মানে তো দুর্ঘটনা অবধারিত। সেখান থেকেই নাটকীয়ভাবে রক্ষা পেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
আরও পড়ুন: ওপরে তাকিয়ে হাঁটুন, যে কোনও সময় মাটিতে আছড়ে পড়বে চিনের রকেটের অংশ
বিচক্রাফ্ট VT-JIL এয়ারক্রাফ্টের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নাগপুর থেকে ওড়ার পরই চাকা খসে পড়ে। সেই ঘটনা নজরে আসে সিআইএসএফ-এর কর্মীদের। তারা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। এয়ার ট্র্য়াফিক কন্ট্রোলের পক্ষ থেকে এমার্জেন্সি জারি করা হয়, এবং এয়ার অ্যাম্বু লন্সটিকে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর বিমানের চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলা হয় একটা ল্যান্ডিং গিয়ার না অবস্থায় ল্যান্ডিংয়ের সময় কী কী করতে হবে। এদিকে, মুম্বই বিমানবন্দরে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য চলে যাবতীয় প্রস্তুতি। শেষ অবধি ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই বেল ল্যান্ডিং করে মুম্বই বিমানবন্দরে নামে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। এমন ক্ষেত্রে আশঙ্কা থেকে যায় বিমানে আগুন লেগে যাওয়ার। তাই রানওয়েতে রাখা হয়েছিল ফোম, যাতে আগুন ধরা থেকে বাঁচানো যায়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে চলে আগুন নেভানোর কাজ। যদিও তেমন কিছু ঘটেনি।
বিমানের চালক কেশরী সিং জানান, তিনি বুঝে ছিলেন চাকা খুলে গিয়েছে। তবে মাথা ঠান্ডা রাখেন। জ্বালানিও ক্রমশ শেষ হয়ে আসায় আশঙ্কা বাড়ছিল। আমি বেল ল্যান্ডিং করেছি। এর ফলে বিমানবন্দরে রানওয়ের কতটা ক্ষতি হয়েছে জানি না। তবে আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ যে আমরা সুরক্ষিত আছে।" এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের থাকা রোগীকে মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাগডোগরা থেকে বিকেল ৪টে ৩৫-এ ছেড়ে নাগপুরে জ্বালানি ভরাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি থেমেছিল বিকেল ৫টা ১৫-তে।