সংক্ষিপ্ত

 

  • করোনা মোকাবিলায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন চিকিৎসকরা
  • চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেকেই সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন 
  • ইতিমধ্যে কোভিড ১৯ রোগ প্রাণ কেড়েছে একাধিক চিকিৎসকের
  • এরপরেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা

করোনা সংক্রমণ আটকাতে এদেশে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। দেশজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে যেমন বাড়ছে করোনা আতঙ্ক, তেমনি বাড়ছে চিকিৎসকদের উপর হামলা। মধ্যপ্রদশে থেকে হায়দরাবাদ হয়ে উত্তরপ্রদেশ, বেঙ্গালুরু দেশের সবপ্রান্তের চিত্রটাই এক। কখনও চিকিৎসক, কখনও আবার স্বাস্থ্যকর্মী, আবার কখনও নার্স, মানুষের রোশের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এই বিষয়ে সরকার কঠোর ব্যবস্থা মা নিলে আগামী ২৩ এপ্রিল দেশজুড়ে কালা দিবস পালনের কথা জানিয়ে দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমআর। 

দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নানা প্রতিকূলতা সত্বেও প্রথম সারিতে থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এমনকি হাসপাতালগুলিতে তাদের জন্য সংক্রমণ আটকাতে পর্যাপ্ত গালভস, মাস্ক না থাকারও অভিযোগ উঠছে। এমনকি করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করাত গিয়ে পরিবারের সদস্যদের থেকে নিজেদেরকে দূরে রেখেছেন অনেকেই। শুধু তাই নয় কোভিড ১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যর্মী। এঁদের মধ্যে  অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন মারণ ভাইরাসে। গত ২২ মার্চ জনতা কারফিউয়ের দিন চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের এই কাজকে সম্মান জানাতে দেশবাসীকে বিকেল ৫টায় ৫ মিনিটের জন্য ঘণ্টা বাজানোর কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এরপরেও বদলায়নি দেশের চিত্র। 

দেশে ফের আক্রান্ত করোনা যোদ্ধারা, এবার বেঙ্গালুরুতে হামলা স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের উপর

দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ১৭ হাজার, লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিল তেলেঙ্গনা

দেশে আরও বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ, ইজ্ঞিত দিল বিমান সংস্থাগুলিকে দেওয়া ডিজিসিএ-র নির্দেশ

হায়দরবাদের গান্ধী হাসপাতালে সম্প্রতি এক করোনা রোগীর মৃত্যু পরেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা চালায় তাঁর পরিবারের লোকজন। করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে ইন্দোরে স্বাস্থ্যকর্মীদের হামলার সম্মুখীন হতে হয়। রবিবার রাতে বেঙ্গালুরুতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। দিনে দিনে এমন ধরণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই প্রতিবাদ জানাতে আগামী ২২ এপ্রিল রাত ৯টায় সমস্ত চিকিৎসকরা মোমবাতি জ্বালাবেন। প্রতিবাদের মোমবাতি জ্বলবে হাসপাতালে গুলিতেও। আর ২৩ এপ্রিল দেশজুড়ে কালাদিবস পালন করা হবে বলে জানিয়েছে আইএমএ। 

আইএমএ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনগুলি পূরণ করতে হবে। সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এটা জাতির কাছে সাদা সতর্কতা- প্রতিবাদ জানাতে সমস্ত চিকিৎসকরা ও হাসপাতালগুলিতে ২২ এপ্রিল কাত ৯টায় মোমবাতি জ্বালান হবে।" 

 

 

চিকিৎসকদের উপর বেড়ে চলা হামলার ঘটনায় এদিন সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। " সাদা সতর্করা পরেও সরকার যদি চিকিৎসক ও হাসপাতালকর্মীদের উপর হওয়া হিংসার বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়, তবে আগামী ২৩ এপ্রিল কালা দিবস ঘোষণা করবে আইএমএ। সেদিন দেশের সকল চিকিৎসক কালো ব্যাজ পরে কাজে যোগ দেবেন।" 

 

করোনারোগীদের চিকিৎসা করায় দেশের বিভিন্ন প্রাস্তে সামাজিক বয়কটের শিকার হতে হচ্ছে শতাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে। গত কয়েকদিনে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসছে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ। এই নিয়ে গত সপ্তাহেই অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইএমস) রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আরডিএ)পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।