সংক্ষিপ্ত
সারাং মেনন এবং অদিতি নায়ারের শিশুর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭.৫ কোটি টাকা। অসহায় পরিবার সন্তানের চিকিৎসার জন্য ক্রাউড-ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম মিলাপের মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছিল।
ভগবানকে চোখে দেখা যায় না, অনুভব করা যায়। সেই অনুভব যেন বাস্তবের মাটিতে এসে দাঁড়িয়েছে সারাং মেনন এবং অদিতি নায়ারের সামনে। এমনও হয়! এমনও হতে পারে! না দেখলে বা এই ঘটনা প্রত্যক্ষ না করলে হয়ত জানতেই পারতেন না এই দম্পতি। কারণ জীবনের ওপর থেকে তাঁরা ক্রমশ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাদের ১৫ মাস বয়সী শিশু মেরুদণ্ডের পেশীর অ্যাট্রোফিতে আক্রান্ত, যা নড়াচড়ার জন্য ব্যবহৃত পেশীগুলির দুর্বলতার কারণে তৈরি হয়। এটিকে চিকিৎসকরা একটি বিরল জেনেটিক ব্যাধি হিসেবেই ব্যাখ্যা করেন।
সারাং মেনন এবং অদিতি নায়ারের শিশুর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭.৫ কোটি টাকা। অসহায় পরিবার সন্তানের চিকিৎসার জন্য ক্রাউড-ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম মিলাপের মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছিল। সেই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে দিয়েই এল ১১.৬ কোটি টাকা, তাও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির কাছ থেকে। কেরালার ওই পরিবার যেন হাতে চাঁদ পেয়েছে। এবার হয়ত বেঁচে যাবে তাঁদের ছোট্ট শিশু।
দাতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই অনুদান দিয়েছেন। সারাং মেনন এবং অদিতি নায়ার, শিশুটির বাবা ও মা কেরালার পালাক্কাদ শহরে থাকেন। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য মুম্বইতে আছেন। তাদের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য অবদানকারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছে চিকিৎসার খরচ মেটাতে তাদের এখন মাত্র ৮০ লাখ প্রয়োজন।
এই দম্পতি ক্রাউড-ফান্ডিং বেছে নিয়েছিলেন কারণ চিকিত্সার জন্য ১৭.৫ কোটি টাকা প্রয়োজন ছিল যা তাদের সাধ্যের বাইরে। তারা রাজ্যের মন্ত্রী বীণা জর্জ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সাথে দেখা করেন, যাতে তাদের সন্তানের জন্য আমদানি করা ওষুধের উপর জিএসটি ছাড় মেলে।
মালায়ালাম অভিনেত্রী আহানা কৃষ্ণা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অনুদানের আবেদন করেন। তিনি তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন “দয়া করে পাঁচ মিনিট সময় নিন। যদি আপনার মধ্যে ১৭ লক্ষ প্রত্যেকে একশো টাকা করে দান করেন, তবে তা ১৭ কোটি দাঁড়াবে। তাই এই অসম্ভবকে সম্ভব করা খুব একটা কঠিন নয়।”
মিলাপের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে তারা ৫৬ হাজার অবদানকারীদের থেকে ১৫ কোটিরও বেশি অর্থ জোগাড় করতে পেরেছেন। এর মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবদানকারীর কাছ থেকে ১১.৬ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে।