সংক্ষিপ্ত
সভাপতি নির্বাচনের আগে আবারও সংকটে রাজস্থান কংগ্রেস। অশোক গেহলট বনাম শচীন পাইলট- পুরনো দ্বন্দ্ব আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে রাজ্যরাজনীতিতে। কংগ্রেস সভাপতির লড়াইয়ে সামিল হওয়ার কথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের। আর সেই অনুযায়ী তাঁর ছেড়ে আসা পদে বসার কথা শচীন পাইলটের
সভাপতি নির্বাচনের আগে আবারও সংকটে রাজস্থান কংগ্রেস। অশোক গেহলট বনাম শচীন পাইলট- পুরনো দ্বন্দ্ব আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে রাজ্যরাজনীতিতে। কংগ্রেস সভাপতির লড়াইয়ে সামিল হওয়ার কথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের। আর সেই অনুযায়ী তাঁর ছেড়ে আসা পদে বসার কথা শচীন পাইলটের। কিন্তু তাতে বাধ সেধেছেন অশোক গেহলট-পন্থীরা। তাই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যেতে পারে সচীন পাইলটের।
বর্তমানে অশোক গেহলট অনুগামী প্রায় ৯০ জন বিধায়ক দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। রবিবার তাঁরা রাজ্যের স্পিকার সিপি জোশীর সঙ্গে দেখা করেন। বিধায়কদের দলে ছিলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়াল। প্রথমে তারা শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে বৈঠক করেন। সেই বৈঠেকেই স্থির হয় অশোক গেহলট যদি কংগ্রেস সভাপতি হন আর শচীন পাইলটকে যদি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয় তাহলে তারা তাঁকে সমর্থন করবে না। তারা গণইস্তফা দেবে বলেও জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, ২০২০ সালে শচীন পাইলট যখন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল তখনই ঠিক হয়েছিল ও প্রস্তাব পাশ হয়েছিল পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী গেহলট অনুগামী অর্থাৎ তাদের মধ্যে থেকেই নির্বাচন করা হবে। এখন যদি সেই প্রস্তাবের বিরোধীতা করা হয় তাহলে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ধারিওয়ালের বাড়িতে সমস্ত পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।
অন্যদিকে রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং জানিয়েছেন অশোক গেহলট দলের সভাপতি হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হবে। কংগ্রেসের ১০২ জন বিধায়ক রয়েছে। সেখান থেকে যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে। এই বিষয়ে অশোক গেহলট, রাহুল গান্ধী ও সনিয়া গান্ধী সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেছেন, অশোক গেহলট তাঁদের নেতা। তাঁকে তাঁরা সব জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁর একনম্বর প্রতিযোগী শচীন পাইলট। তাঁকে তাঁরা সব কথা বলতে পারেন না বলেও জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই রাজস্থানের প্রায় ৯২ জন বিধায়ক পদত্যাগ করতে রাজি। এই ৯২জনও অশোক গেহলটের অনুগামী। বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকও হয়েছে।
অন্যদিকে রাজস্থানের সংকট মোকাবিলায় দিল্লি থেকে ছুটে গেছেন, মল্লিকার্জুন খাড়গের মত শীর্ষ নেতৃত্ব। সঙ্গে রয়েছেন অজয় মাকেন। তাঁদের সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে। অন্যদিকে অশোক গেহলট বলেছেন, দলের ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। সকলেই কংগ্রেসম্যান। যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে হাইকম্যান্ড।
দলেরই একটা অংশ বলছে, প্রথমে অশোক গেহলট মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস সভাপতি উভয় পদেই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের এক পদ নীতি চালু হয়েছে। তারই ভিত্তিতে তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হতে পারে। আর সেই কারণে তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দী শচীন পাইলটকে প্রশাসন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। শচীন পাইলটের বদলে তাঁর অনুগত কাউকেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে ইচ্ছুক তিনি। আর সেইজন্যই তিনি ভিরত থেকে কলকাঠি নাড়ছেন।