সংক্ষিপ্ত
৬৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবে কাজ করেছেন।
কংগ্রেস ছাড়লেন বর্ষীয়ান নেতা (Senior Congress Leader) তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার (Ashwani Kumar)। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) একটি চিঠি লিখে দল থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এমনকী, দলত্যাগের কারণও সেই চিঠিতেই উল্লেখ করেছেন। 'বৃহত্তর স্বার্থে' কাজ করার জন্যই দলত্যাগ করছেন বলে জানিয়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা।
সোনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে অশ্বিনী জানান, "বিষয়টি নিয়ে অনেক ভাবনাচিন্তার পরে, আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের বাইরে গিয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করতে চাই। সেই কারণে দলে থাকতে পারছি না।" দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এই দীর্ঘ বছরে দলে থেকে একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। অবশেষে দেশের স্বার্থে কাজ করার জন্যই কংগ্রেস ত্যাগ করছেন বলে জানিয়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা।
৬৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি পঞ্জাব থেকে রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন এবং গত ইউপিএ সরকারে (UPA Government) বেশ কয়েকটি দায়িত্বও সামলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- পঞ্চম পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ, জালিয়াতি ১৩৯ কোটি টাকার
২০১২ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৩ সালের মে পর্যন্ত আইন ও বিচার মন্ত্রী ছিলেন অশ্বিনী। এর আগে, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের মে পর্যন্ত তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও সামলেছেন। ২০১১ সালের জানুয়ারী থেকে জুলাই পর্যন্ত সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, পঞ্জাব নির্বাচনের প্রচারের সময় দলের তরফে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি তাঁকে। আর সেই কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যদিও সোনিয়াকে লেখা চিঠিকে সেই বিষয়ের কোনও উল্লেখ তিনি করেননি।
আরও পড়ুন- ভারতীয়দের, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ, ক্রমশ বাড়ছে রুশ হামলার হুমকি
এর আগেও কংগ্রেস ছেড়েছেন বহু নেতা। সেই তালিকায় রয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জিতিন প্রসাদ, আরপিএন সিং, সুস্মিতা দেব, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং ললিতেশপতি ত্রিপাঠী। অন্য দুই প্রবীণ গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো এবং পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও সম্প্রতি দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন। তবে অশ্বিনী কুমারের দলত্যাগের ফলে কংগ্রেস কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ সোনিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল খুবই ভালো। সোনিয়ার অনুগতদের মধ্যে তিনিও ছিলেন অন্যতম। একাধিকবার অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে দলকে রক্ষাও করেছেন তিনি। আর এই ধরনের এক বর্ষীয়ান নেতার দলত্যাগ নিঃসন্দেহে জাতীয় কংগ্রেসের কাছে একটা বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন- ভূস্বর্গের বুকে প্রেমের সৌধ, দেখুন কাশ্মীরের তাজমহলের মন ভালো করা ছবি
তিনি তখন বলেছিলেন যে যে সমস্যাগুলির সমাধান করা দরকার তা কেবল গান্ধীর নেতৃত্বেই সমাধান করা যেতে পারে। “মাত্র এক বছর আগে (2019 সালে), পার্টির লোকেরা আক্ষরিক অর্থে তাকে পার্টির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল এবং তিনি দায়িত্বের আহ্বান হিসাবে সম্মত হন। এই পর্যায়ে তার ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ভুল। আমি মনে করি যে বর্তমান অসাধারণ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দুঃসাহসিকতা এগিয়ে যাওয়ার পথ হতে পারে না, "কুমার তখন বলেছিলেন।