সংক্ষিপ্ত
অসমের মুখ্যমন্ত্রী ২৯ বিঘা জমি দূর্ণীতি নিয়ে একটিও কথা বলেননি। তিনি শুধুমাত্র নিশানা করে যায় অসমের বিরোধী বিধায়ক অখিল গগৈয়ের। তিনি বলেন, 'আমার স্ত্রীর দিকে এত নজর কেন জানি না।
অমসের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Assam CM Himanta Biswa Sarma) স্ত্রী রিণিকি ভুঁইয়া শর্মা (Rinik Bhhuyan Sarma)ও তাঁদের পুত্র নন্দিলের নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২৯ বিধা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। একটি সমীক্ষা সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যমের একাংশ এই অভিযোগে সরব হয়েছে। তানিয়ে রাইজার দলের বিধায়ক অখিল গগৈয়ের (Akhil Gogoi) অভিযোগের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী একহাত নেন। রীতমত চড়াসুরেই সমালোচনা করেন বিরোধী বিধায়কের। তিনি বলেন, '২০০৮ সল থেকেই দেখছি অখিল আমার স্ত্রীর পিছনে পড়ে রয়েছে। রিণিকি জমি বাড়ি কিনলে এমনকি খাবার খেলেও তাঁর আপত্তি।' অসমের মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করে আরও বলেন সাংবাদিক সম্মেলন ডাকতে বিরোধী বিধায়ক অখিল গগৈ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও খথা বলেন না। শুধুমাত্র তাঁর স্ত্রীকে নিয়েই আলোচনা করে যান।
তবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী ২৯ বিঘা জমি দূর্ণীতি নিয়ে একটিও কথা বলেননি। তিনি শুধুমাত্র নিশানা করে যায় অসমের বিরোধী বিধায়ক অখিল গগৈয়ের। তিনি বলেন, 'আমার স্ত্রীর দিকে এত নজর কেন জানি না। অসমে কি আর কেউ নেই? নাকি আমার স্ত্রীকে দেখতে খুব কুৎসিত?' তিনি আরও বলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার সামনে হিমালয় পর্বত এসে দাঁড়ালেও তিনি তা ভেঙে দিয়ে এগিয়ে যাবেন। বামপন্থী সংবাদ মাধ্যমকে তিনি তোয়াক্কা করেন না বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি অখিলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সাহস থাকলে তারা যেন স্ত্রী পুত্রকে বাদ দিয়ে তার বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করেন।
অন্যদিকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন অখিল গগৈ। তিনি বলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অনেক নীচে মেনে গেছেন। স্ত্রীকে তিনি রাজনীতির পাশা খেলায় ব্যবহার করছেন। এই ঘটনা অসমের পক্ষে দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনায় শুধু হিমন্ত বিশ্বশর্মার স্ত্রী নয় অসমের সমস্ত মহিলাকেই তিনি অমপান করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে জালুকবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে ১৮ একর সরকারি জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এই এলাকা সরমার বিধানসভা কেন্দ্রে অবস্থিত। বিরোধীদের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী ও ছেলের সংস্থা ১৯৮৯ সালের অসম ল্যান্ড রুলস ও ১৯৫৬ সালের অসম ফিক্সেশন অব সিলিং অন ল্য়ান্ড হোল্ডিংস অ্যাক্ট লঙ্ঘন করেছে। সুবিধেভোগীরা সিলিং উদ্ধৃত জমি মঞ্জুর করেছেন। রাজ্যসরকার ১০ বছরের জন্য সেই জমি বিক্রি করতে নিষেধ করেছে। প্রশ্ন উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন সংস্থা কী করে মূল সুবিধেভোগীদের কাছ থেকে সিলিং উদ্ধৃত জমি অধিগ্রহণ করেছিল। এই ঘটনারই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। প্রয়োজনে নিয়ম মেনে জমিটি ফেরত দিতে হবে বলেও তাদের দাবি।
Bangladesh Defence: ভারতের থেকে অস্ত্র কিনবে বাংলাদেশ, প্রতিরক্ষায় বড় সাফল্য দেশের