সংক্ষিপ্ত

অতীশির সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের পাঁচ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। যার মধ্যে একজন নতুন। অতীশির নতুন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা হলেন, গোপাল রায়, কৈলাশ গেহলট, সৌরভ ভরদ্বাজ, ইমরান হোসেন।

 

শনিবার রাজ নিবাসে দিল্লির অষ্টম মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতীশি। তিনি বসছেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ছেড়ে যাওয়া গদিতে। তিনি দিল্লির সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি দিল্লির তৃতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রীও তিনি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তারপরই দলের মুখ হিসেবে সামনে এলেন অতীশি।

এদিন অতীশির সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের পাঁচ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। যার মধ্যে একজন নতুন। অতীশির নতুন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা হলেন, গোপাল রায়, কৈলাশ গেহলট, সৌরভ ভরদ্বাজ, ইমরান হোসেন। যাইহোক দীর্ঘদিন ধরেই দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর তাকমা ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাতে। এবার আর তা রইল না।

অতীশি কে?

দিল্লির কালকাজির প্রথমবারেক বিধায়ক অতীশি। তিনি দিল্লির ১৭তম মুখ্যমন্ত্রী। ৪৩ বছরের অতীশির পড়াশুনা বিদেশ থেকে। আম আদমি পার্টির পরিচিত মুখ। কেজরিওয়াল, মণীষ সিসৌদিয়া জেলে থাকার সময় তিনি দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে অতীশির রাজপাট বেশি দিলেন হবে না। তিনি দিল্লির স্বল্পমেয়াদী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই দায়িত্ব নিচ্ছেন। কারণ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।

১৯৮১ সালের ৮ জুন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিজয় সিং ও ত্রিপ্ত ওয়াহির ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অতীশি। বাবা রাজপুত আর মা পঞ্জাবী। ২০১৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন অতীশি। সেই সময় তিনি নিজের নাম থেকে পদবী বাদ দিয়ে দেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, মানুষ তাঁর কাজের মাধ্যমেই তাঁকে চিনুক, বংশ পরিচয় দেখে নয়।

অতীশি বড় হয়েছেন দিল্লিতে। নতুন দিল্লির স্প্রিংডেলস স্কুলে পড়াশুনা। ২০০১ সালে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হন। তারপরের পড়াশুনা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি চেভেনিং স্কলারশিপও পেয়েছিলেন।

২০১৩ সাল থেকে আম আদমি পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। তারপর থেকেই তিনি দলের একনিষ্ট কর্মী। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে অতীশি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তিনি শিক্ষা, পিডাব্লুডি -সহ একাধিক দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর আমলেই দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থা দেশে ও বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।