সংক্ষিপ্ত

মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর একটি -অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সেখানেই বলেন, 'ধর্মে অনুপযুক্ত ও অসম্পূর্ণ বোঝাপড়াই অধর্মের দিকে নিয়ে যায়।

 

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যহত করার হুমকি দিয়ে মন্দির- মসজিদ বিবাদের ঘটনা নিয়ে এবার প্রকাশ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। রবিবার একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ধর্মের নামে সংঘটিত সমস্ত হানাহানি ও নৃশংসতা কাম্য নয়। এই ঘটনার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন ধর্ম সম্পর্কে প্রকৃত উপলব্ধির অভাবকেই।

মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর একটি -অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সেখানেই বলেন, 'ধর্মে অনুপযুক্ত ও অসম্পূর্ণ বোঝাপড়াই অধর্মের দিকে নিয়ে যায়। ধর্ম সর্বদাই বিদ্যমানয যা বিশ্বের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাই ধর্মকে সনাতন বা শাশ্বত বলে।' তিনি আরও বলেছেন, ধর্মের প্রকৃত অনুশীলন সর্বদাই সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তিনি বলেছেন, 'আমাদের ধর্মের বিভিন্ন সংস্কারমূলক সম্প্রদায়গুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই সম্প্রদায়গুলি ধর্মের প্রকৃত সম্পদ।'

আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত আরও বলেছেন, কোনও ধর্মই মানুষকে বিভক্ত করতে শেয়ায় না। বরং মামুষকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রজ্ঞা দেয়। তাঁর কথায়, 'ঐক্য চিরন্তন। সমগ্র মহাবিশ্ব এক, অহিংসা অনুশীলন ধর্মকে রক্ষা করে। আমরা যদি সত্য ও সঠিকভাবে ধর্মকে বুধতে পারি তাহলে সেখানে প্রশান্ত, সাম্য, ঐক্য ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে।' তিনি আরও বলেছেন, অশিক্ষিত বা নিরক্ষররা সহজে ধর্মকে বুঝতে পারে। কিন্তু শিক্ষিত মানুষের জ্ঞানের দর্পে ধর্মের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারে না। এখানেই শেষ নয়, মোহন ভাগবত, ধর্মের সঠিক ব্যাখা দেওয়ার জন্য ধর্মগুরুদের কাছেও আবেদন জানান।

এর আগে গত শুক্রবার রামমন্দির নিয়ে বড় বার্তা দিয়েছিলেন মোহন ভাগবত। সংঘপ্রধানের বলেন,রাম মন্দির ছিল হিন্দুদের আস্থার বিষয়। হিন্দুরা চাইছিলেন মন্দির নির্মাণ গোক। রাম মন্দির নির্মাণ জরুরি ছিল। শুধুমাত্র ঘৃণা বা শত্রুতার বশবর্তী হয়ে অন্য কোনও জায়গা নিয়ে এই ধরনের ইস্যু তৈরির চেষ্টা করা হলে তা কখনই সমর্থন করা হবে না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।