সংক্ষিপ্ত
সরকার বুধবার জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং আইএসআইএস-এর মতো জঙ্গি সংগঠনের সাথে "সম্পর্ক" করার জন্য পিএফআই এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য কয়েকটি সংগঠনের উপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বুধবার বলেছেন যে যদিও তিনি সর্বদা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) পদ্ধতির বিরোধিতা করেছেন, তবে কট্টরপন্থী সংগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করা যায় না।
সরকার বুধবার জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং আইএসআইএস-এর মতো জঙ্গি সংগঠনের সাথে "সম্পর্ক" করার জন্য পিএফআই এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য কয়েকটি সংগঠনের উপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওয়াইসি একের পর এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "আমি সবসময় PFI-এর পদ্ধতির বিরোধিতা করেছি এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সমর্থন করেছি, কিন্তু PFI-এর উপর নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করা যায় না।"
তিনি বলেন এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা বিপজ্জনক কারণ এটি যে কোনো মুসলমানের উপর নিষেধাজ্ঞা যা তার মনের কথা বলতে চায়। ভারতের 'নির্বাচনী স্বৈরাচার' যেভাবে ফ্যাসিবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এখন PFI প্যামফলেট সহ প্রতিটি মুসলিম যুবককে ভারতের 'কালো' আইন বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এর অধীনে গ্রেপ্তার করা হবে।
নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করতে অস্বীকার করার কারণ দেখিয়ে, ওয়াইসি বলেন: "কিছু ব্যক্তি যারা অপরাধ করে তাদের কর্মের অর্থ এই নয় যে সংস্থাটিকেই নিষিদ্ধ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে যে কোনও সংস্থার সাথে কেবল যোগাযোগ রাখাই দোষী সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট নয়। পিএফআইকে ব্যান করার কয়েক ঘন্টা পরেই টুইট করেন ওয়াইসি।
তিনি আরও বলেন, "আদালত থেকে খালাস পাওয়ার আগে মুসলিমরা কয়েক দশক ধরে কারাগারে কাটিয়েছে। আমি UAPA-এর বিরোধিতা করেছি এবং UAPA-এর অধীনে সমস্ত কর্মের বিরোধিতা করব। এটি স্বাধীনতার নীতির বিরুদ্ধে চলে, যা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ।" তিনি আরও বলেন আমাদের মনে রাখা উচিত যে কংগ্রেস ইউএপিএ সংশোধন করেছিল এটিকে কঠোর করার জন্য। যখন বিজেপি এটিকে আরও কঠোর করার জন্য আইন সংশোধন করেছিল, তখন কংগ্রেস এটিকে সমর্থন করেছিল। এখন পিএফআই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, কিন্তু আজমির দরগা বোমা বিস্ফোরণে দোষীদের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলোর ওপর আঘাত কেন হানা হচ্ছে না? কেন সরকার ডানপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করেনি?
উল্লেখ্য, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া বা সংক্ষেপে যা পিএফআই নামে পরিচিত তাকে ব্যান করার দাবিও জানাচ্ছিল একাধিক রাজ্য। সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ দেশজুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার দপ্তর এবং নেতাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনআইএ এবং ইডি। এক যোগে এই তল্লাশিতে বহু চাঞ্চল্যকর নথি এবং তথ্য হাতে এসেছে বলেও দাবি করে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই একটা খবর চাউড় হয় যে পিএফআই-এর বিরুদ্ধে ব্যান-এর সিলমোহর দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বুধবার ভোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যে বিবৃতি মিলেছে তাতে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ারে আপাতত ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় চিনের মুখোশ খুললেন জয়শঙ্কর, কড়া বার্তা পাকিস্তানকেও
NIA-র তল্লাশি অভিযান কলকাতার পার্ক সার্কাসে, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ শেখ মোক্তারের বিরুদ্ধে
9/11 Anniversary : ভাই জোসেফ-কে আজও খোঁজেন চেরিয়ান, ৯/১১- মানে তাঁর কাছে প্রিয়জনকে হারানোর দিন