রাম নাম লিখলেই খোলা যাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! অদ্ভুত নিয়ম চালু হয়ে গেল এই রাজ্যে
ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে কী লাগে, জানেন নিশ্চয়ই। ৯৯ শতাংশ মানুষ বলবে যে তাঁরা খুব ভালো করেই জানেন কী কী নথি দেখাতে হয় অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে। আমি বলব না, এ সব কিচ্ছু লাগবে না আর। তাহলে কী লাগবে? শুধু লিখতে হবে 'সীতারাম' শব্দটি।
- FB
- TW
- Linkdin
সারা দেশ জুড়ে ধুমধাম করে পালিত হয়েছে রামনবমী। শ্রী রামের উৎসবে ভক্তরা সবাই যোগ দেন। রামনবমী উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল অযোধ্যায়।
গোটা অযোধ্যা শহর সেজে উঠেছিল আলোক মালায়। অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের পর এটাই ছিল প্রথম রামনবমী। তাই স্বাভাবিকভাবেই উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে।
এই দিনটি নিয়ে গোটা দেশ যখন উৎসবে মেতেছে, তখন এমন একটি ব্যাংক সম্পর্কে আপনাদের জানা উচিত যেখানেই অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে ৫ লক্ষ বার লিখতে হয় ‘সীতারাম’। এই ব্যাংকটি উদ্বোধন হয় ১৯৭০ সালে। এই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুললে ঋণের সুবিধাও পেতে পারেন ভক্তরা।
তবে রয়েছে শর্ত। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য পাঁচ লক্ষ বার সীতারাম লিখতে হবে। তবেই খোলা যাবে নিজের নামে অ্যাকাউন্ট। জানলে অবাক হবেন বর্তমানে প্রায় ৩৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে এই ব্যাংকের। ভারতের পাশাপাশি এই ব্যাংকের গ্রাহক রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, নেপাল, ফিজি বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেও। সূত্রের খবর, অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের পর বহু মানুষ এই ব্যাংক দেখতেও আসছেন।
অ্যাকাউন্ট খোলা হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রতিটি গ্রাহককে দেওয়া হয় একটি করে বুকলেট ও লাল পেন। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এই বুকলেটে পাঁচ লক্ষ বার লিখতে হয় ‘সীতারাম’। ৫ লক্ষ বার ‘সীতারাম’ লেখার পরেই খোলা হয় অ্যাকাউন্ট ও ইস্যু করা হয় পাসবুক। ভারত ও বিদেশ মিলিয়ে ১৩৬টি শাখা রয়েছে এই ব্যাংকের।
ভগবান শ্রী রামের নামে তিন রকম উপায়ে এই ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যায়। এই তিনটি উপায় হল রাম নাম জপ করা, পাঠ করা ও লেখা। ৪ মাস ১০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয় ঋণ পরিশোধ করার জন্য। এর জন্য লিখতে হবে ১ লাখ ২৫ হাজার রাম নাম। আপনারা জানলে অবাক হবেন এই ব্যাংকের এমন কিছু গ্রাহক রয়েছেন যারা ২৫ লাখেরও বেশি বার রাম নাম লিখেছেন। জেনে রাখা ভালো এই ব্যাঙ্কটি রয়েছে উত্তর প্রদেশে।
কানাকড়ি ছাড়াই অ্যাকাউন্ট খোলা যায় এই ব্যাঙ্কে। আর ‘রিটার্ন’ বলতে মেলে মানসিক শান্তি। টাকাপয়সার বদলে এখানে জমা রাখতে হয় একধরনের পুস্তিকা, যার পাতায় পাতায় ‘সীতারাম’ লিখতে হয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানান, বিনা খরচে ভক্তদের বুকলেট এবং লালকালির পেন দিয়ে থাকেন তাঁরাই।
পুণ্য সংগ্রহের আশাতেই এই ব্যাঙ্কে খাতা খোলেন দেশবিদেশের ভক্তরা। কেউ সশরীরে এখানে উপস্থিত হতে না পারলে মেল করেও বুকলেট পাঠিয়ে দিতে পারেন, আর সেভাবেই ব্যাঙ্কে খুলে ফেলতে পারেন নিজের অ্যাকাউন্ট।