Husband Decapitated Wife: কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বৌদিকে খুন করে কাটা মাথা নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এবার কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে একই ঘটনা দেখা গেল।
Bengaluru Man Decapitated Wife: স্ত্রীকে খুন করে তাঁর কাটা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন এক যুবক। এই ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) চন্দাপুরা হিলালগে গ্রামে। ২৬ বছর বয়সি শঙ্কর হেন্নাগার অঞ্চলের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রীর নাম মানসা হেব্বাগোডি। তাঁর বয়সও ২৬ বছর। পাঁচ বছর আগে তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। কয়েক মাস আগে তাঁরা এই গ্রামে এসে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তাঁদের এক কন্যাসন্তান আছে। এই দম্পতি সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাঁদের জীবন শেষ হয়ে গেল। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ৩ জুন রাতে শঙ্কর কোনও কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরে এসে তিনি হতবাক হয়ে যান। তাঁর স্ত্রী অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে বিছানায় ছিলেন। স্ত্রীকে এই অবস্থায় দেখে রাগে ফেটে পড়েন শঙ্কর। তিনি স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে মারধর করেন। এরপর মানসার গলা কেটে হত্যা করেন।
পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি
স্ত্রীকে খুন করে কাটা মাথা একটি ব্যাগে ভরে বাইকে করে থানায় যান শঙ্কর। তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। শঙ্কর ও মানসার চার বছর বয়সি একটি মেয়ে আছে। তার সামনেই মানসাকে খুন করেন শঙ্কর। ফলে এই মামলায় তাঁদের মেয়ের বয়ান গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার চরম পরিণতি
এই ঘটনাটি দেখায় যে সম্পর্কে যখন কথোপকথনের অভাব হয়, তখন সমস্যার সমাধান হয় না। যদি শঙ্কর তাঁর রাগ নিয়ন্ত্রণ করে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেন এবং আলাদা হয়ে যেতেন, তাহলে আজ তিনটি জীবন বরবাদ হত না। স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে শঙ্কর গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর কঠোর সাজা হতে পারে। বাবা-মায়ের স্নেহ-ভালোবাসা-আশ্রয় থেকে বঞ্চিত হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে ছোট্ট মেয়েটি। যার কোনও দোষ ছিল না। কিন্তু সে মা-বাবা ছাড়া জীবনের কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। তার ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


