সংক্ষিপ্ত

শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনে বড় তথ্য হাতে পেল দিল্লি পুলিশ। প্রকাশিত হয়েছে ডিএনএ রিপোর্ট। পরীক্ষার জন্য শ্রদ্ধার বাবার ডিএন সংগ্রহ করা হয়েছিল।

 

 

দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডে বড় সাফল্য। উদ্ধার হওয়া একটি হাড়ের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে গেল শ্রদ্ধা ওয়াকারের ডিএনএ। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর আফতাব পুনাওয়ালা যে মেহরাউলি এলাকার জঙ্গল থেকে যে হাড়গুলির সন্ধান পুলিশকে দিয়েছিলেন সেগুলি প্রকৃতপক্ষে শ্রদ্ধা ওয়াকারের হাড়। কারণ সেই হাড়ের সঙ্গে শ্রদ্ধার বাবার থেকে নেওয়া ডিএনএ পুরোপুরি মিলে গেছে। এদিনই ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে।

গত মে মাসে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করে তার প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালা। আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। কিন্তু খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করেছিল। তা রাখার জন্য একটি ফ্রিজারও কিনেছিল। তবে শ্রদ্ধার দেহ কাটার সময় রক্তপাত হয়। সেই রক্তের দাগ পরিষ্কার করা আর প্রমান নিশ্চিহ্ন করার জন্য রাসায়নিক সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগল সার্চ করেছিল। দিল্লি পুলিশ আরও বলেছিল খুনের পর ঠান্ডা মাথায় সবকিছু পরিকল্পনা করেছিল। শ্রদ্ধাকে খুনের পর লাশ বাথরুমে রেখে দিয়েছিল। তারপর দোকানে গিয়ে ফ্রিজ কিনে এনেছিল। তারপকই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিল। শ্রদ্ধার শেষ অবস্থান জানতে দিল্লি পুলিশ তার মোবাইল লোকেশনও ট্র্যাক করে। জানতে পারে দিল্লিতেই ছিল ১৮ মে পর্যন্ত। তারপর আর শ্রদ্ধার কোনও সন্ধান পায়নি। সবকিছু দেখেই ১০ নভেম্বর দিল্লি পুলিশ এফআইর করে। তারপরই গ্রেফতার করে আফতাবকে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বইয়ের ডেটিং অ্যাপে প্রথম পরিচয়। তারপর প্রেম। পরিবারের অমতে দুজনেই চলে আসে দিল্লি। কিন্তু বিয়ে নিয়ে নিজেদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। তারপরই শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। আরও জেরার পর খুনের কথা স্বীকার করে নেয় আমিন পুনাওয়ালা।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যায় আফতাবের বিরুদ্ধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ হিসেবে কাজ করছে। এছাড়াও আফতাবের ব্যবহৃত কিছু জিনিস ও দেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহৃত হওয়া ছুরি উদ্ধার হয়েছে। যেগুলি তথ্য প্রমাণ হিসেবে আগেই আদালতে পেশ করা হয়েছে। আফতাবের বিরুদ্ধে শক্তিশালী তথ্য প্রমাণের কাজ করে ডিএনএ রিপোর্ট। অন্যদিকে আফতাবের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে শ্রদ্ধার বাবা।

বাবার অমতেই আফতাবের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল শ্রদ্ধা। পরিবারের অমাতে গিয়ে এক মুলসিম তরুণের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল। যাতে বিরক্ত ছিল শ্রদ্ধার পরিবার। আর সেই কারণে মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যোগাযোগ রেখেনি। কিন্তু ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল শ্রদ্ধার। দিনির ফোন দীর্ঘ দিন ধরে না পেয়ে বাড়িতে সব জাবিয়েছিল সে। তারপরই শ্রদ্ধার সন্ধানে দিল্লিতে আসে তারা বাবা। দায়ের করা হয় অভিযোগ। তারপরই জট খোলে ৬ মাস আগের একটি হত্যাকাণ্ডে।

আরও পড়ুনঃ

৪০ লক্ষ টাকা হাতাতে PhD ছাত্রকে খুন, দেহ টুকরো করে তিনটি জায়গায় ছড়িয়ে দিল বাড়ির মালিক

নেশার জন্য মাত্র ১০ টাকা নিয়ে বচসা! তাতে বন্ধুর হাতে খুন হল বন্ধু

দিল্লি এইমসের হ্যাক হয়ে যাওয়া ডাটা পুনরুদ্ধার , ভারতীয় পুলিশের বাগে চিনা হ্যাকাররা