সংক্ষিপ্ত

ইতিমধ্যেই গোছগাছ শুরু করেছেন কৃষকরা। দিল্লির সীমানা লাগোয়া এলাকায় ভেঙে ফেলা হচ্ছে অস্থায়ী আবাস। যেগুলি গত ১৫ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি করেছিলেন।


দীর্ঘ ১৫ মাস পরে জয়ের আনন্দ নিয়ে ঘরে ফেরার সময় এসেছে কৃষকদের (Farmer) । শনিবারই ঘরে ফিরবেন তাঁরা। তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের (Farm Laws Reple) পাশাপাশি সরকার তাদের একাধিক দাবি মেনে নেওয়ায় ইতি টানা হয়েছে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের (Farmer Protest End)। তবে ঘরে ফেরার আগে আন্দোলনকারী কৃষকরা বিজয় (Victory March) মিছিল করবেন। দিল্লির সিংহু আর টিকোরি সীমান্ত হবে কৃষকদের বিজয় মিছিল। 

ইতিমধ্যেই গোছগাছ শুরু করেছেন কৃষকরা। দিল্লির সীমানা লাগোয়া এলাকায় ভেঙে ফেলা হচ্ছে অস্থায়ী আবাস। যেগুলি গত ১৫ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি করেছিলেন। এই আন্দোলন একদিকে যেমন কৃষকদের প্রকৃত সাহসী আর বীরের তকমা দিয়েছে অন্যদিকে তেমন তাদের নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে সন্ত্রাবাদী বা খালিস্তানি। কিন্তু সববাধা কাটিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে অনড় ছিলেন তাঁরা। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বেই বিজয় মিছিল করে এদিন কৃষকরা বাড়ি ফিরবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

আন্দোলনকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। দিল্লির সীমানায় তাঁরা যখন প্রতিকূল আবহাওয়া, পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সরকারি বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের সাহায্য করেছিলেন এলাকার মানুষ। জল, বিদ্যুৎ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এবার সীমানা লাগোয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর সময় এসেছে। বিজয় মিছিল করেই তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্মান জানিয়ে দিল্লি সীমানা থেকে বিদায় নেবেন। অন্যদিকে কৃষকরা যখন ট্র্যাক্টর নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তখন তাদেরও স্বাগত জানানোর জন্য রাস্তার ধারে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। 

শুক্রবারই আন্দোলন শেষ করে কৃষকদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তামিলনাড়ুতে চপার দুর্ঘটনায় সিডিএস বিপিন রাওয়াতসহ ১৩ জনের মৃত্যুর কারণে তা স্থগিত রাখা হয়েছে। কৃষক নেতা ও এসকেএম-এর কমিটির সদস্য শিবকুমার কাক্কা জানিয়েছেন আন্দোলন চলাকালীন যেসব মানুষ কৃষকদের নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করেছিলেন তাদের সকলেই কৃতজ্ঞতা জানান হবে। তাঁদের জন্য এই আন্দোলন অনেক শক্তি পেয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন সহায্যকারীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বাড়ি ফেরার আগে সেইসব মানুষদের সম্মান জানিয়ে ফুল ও মিষ্টি উপহার দিতে চান তাঁরা। তিনি আরও বলেন স্থানীয়া বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ভালো বন্ু হয়েছে। আগামী দিনেও তাঁদের সঙ্গে সংযুক্ত মোর্চা যোগাযোগ রাখতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

তিনি আরও বলেছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা রয়েছেন তাঁরা আন্দোলনকারী কৃষকদের জল, বিদ্যুৎ, খাবার, থাকার জায়গা করে দিয়েছিলেন। শুধু সিংহু নয় দিল্লিরা আরও বেশ কয়েকটি সীমান্ত এজাতীয় অনুষ্ঠান হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অরপ এক কৃষক নেতা সুদেশ গোয়াত বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা এমন সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল যখন সরকার আন্দোলন ভাঙতে একাধিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। কংক্রীট দিয়ে বন্ধ  করে দেওয়া হয়েছিল সীমান্ত। কৃষক নেতারা জানিয়েছেন এই আন্দোলনের সাফল্যের অংশীদার দিল্লির সীমান্তের গ্রাম ও শহরের মানুষও। তাঁরা সাহায্য না করলে এই আন্দোন গত ১৫ মাস ধরে চালানো যেত না বলেও দাবি করেন তিনি। 

Goa Congress: দলের ভাঙন কি রুখতে পারবেন প্রিয়াঙ্কা, তাঁর সফরের মাঝে ইস্তফার হিড়ক গোয়া কংগ্রেসে

CDS Bipin Rawat: শনিবার রীতি মেনে গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন, থাকবেন পরিবারের সদস্যরা

Viral Video: ভাইরাল ভিডিও অস্বস্তি বাড়াল যোগী সরকারের, বরখাস্ত পুলিশ কর্তা