সংক্ষিপ্ত
ভাইরাল ভিডিওতে, একটি চিলকে মন্দিরের পতাকা নিয়ে জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে এই ঘটনাকে ভগবান জগন্নাথের লীলা হিসেবে বিবেচনা করছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে শুভ বা অশুভ লক্ষণের সাথে যুক্ত করছেন।
ওড়িশার পুরীতে অবস্থিত ভগবান জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কিত একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এতে, একটি চিলকে নিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখে মানুষ অবাক। কারণ জগন্নাথ মন্দিরের পতাকা প্রতিদিন একটি বিশেষ পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা হয়। এই পতাকা খুবই শুভ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু যখ একটি চিল এভাবে পতাকা তুলে নিয়ে পালাচ্ছে, সেই ঘটনা মোটেও শুভ নয় বলেই মনে করছেন মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। তাহলে কি বড় কোনও অশুভ ঘটনা ঘটতে চলেছে?
ভাইরাল ভিডিওতে, একটি চিলকে মন্দিরের পতাকা নিয়ে জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে এই ঘটনাকে ভগবান জগন্নাথের লীলা হিসেবে বিবেচনা করছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে শুভ বা অশুভ লক্ষণের সাথে যুক্ত করছেন। এই ভিডিওটি টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা হচ্ছে। মানুষও এই বিষয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
বর্তমানে এই ঘটনা সম্পর্কে মন্দির প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে স্থানীয় পুরোহিতদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে এটি একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা হতে পারে। তবে ভক্তদের অনুভূতি এবং মন্দিরের ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করে এই ঘটনাটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
তবে, মানুষ অপ্রীতিকর কিছু ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করছে। কারণ ২০২০ সালের এই প্রথম বছরেই বজ্রপাতের কারণে মন্দিরের পতাকায় আগুন ধরে যায়। এর পরপরই, করোনা মহামারী সারা বিশ্বে তাণ্ডব চালায়। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় কিছু মানুষ জানিয়েছেন যে গরুড়ের হাতে থাকা পতাকাটি জগন্নাথ মন্দিরের নয়, বরং অন্য কোনও মন্দিরের। আসুন জেনে নিই মন্দিরের পতাকার পেছনের রহস্য কী?
পতাকা বিজ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করে
জগন্নাথ মন্দিরের পতাকার সবচেয়ে বিশেষ দিক হল বাতাসের দিক যাই হোক না কেন, পতাকার দিক সবসময় একই থাকে। এটি বিজ্ঞানের যেকোনও নিয়মকেই চ্যালেঞ্জ করে। এই ঘটনায় বিজ্ঞানীরাও অবাক। বাতাস যে দিকেই চলুক না কেন, পতাকাটি যে দিকে উড়বে তা নির্দিষ্ট।
পতাকা প্রতিদিন বদলানো হয়
জগন্নাথ মন্দিরের পতাকা প্রতিদিন পরিবর্তন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, যেদিন কোনও কারণে পতাকা পরিবর্তন করা হবে না, সেই দিন থেকে পরবর্তী ১৮ বছর ধরে এই স্থানটি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে মন্দিরের দরজা খুলে দিলে বিপর্যয় ঘটতে পারে। মানুষ এই বিশ্বাস দেখে অবাক হয়। প্রতিদিন একজন পুরোহিত ৪৫ তলা পর্যন্ত উঁচু মন্দিরের চূড়ায় উঠে পতাকা পরিবর্তন করেন।