সংক্ষিপ্ত
- পদুচেরিতে ভোট প্রচারে রাহুল গান্ধী
- মৎজীবীদের সমুদ্রের কৃষক আখ্যা দেন
- মৎস মন্ত্রকের দাবি জানান তিনি
- তারপরই আক্রমণে নামে বিজেপি
ভোট প্রচারে পদুচেরি গিয়ে বিপাকে পড়লেন রাহুল গান্ধী। একটি প্রশ্ন তুলেই একঝাঁক বিজেপি নেতা মন্ত্রীর নিশানায় দাঁড়াতে হয় কংগ্রেস নেতাকে। পদুচেরি সফরের সময় বুধবার রাহুল গান্ধী দেখা করেন স্থানীয় মৎসজীবীদের সঙ্গে। সেই সময় তিনি কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সওয়াল করেন। সেখানেই তিনি বলেন মৎসজীবীরা সমুদ্রের কৃষক। তারপরই তিনি প্রশ্ন করেন কেন তাঁদের উন্নয়নের জন্য আলাদা কোনও দফতর থাকবে না দিল্লিতে?
রাহুল গান্ধীর এই প্রশ্নের উত্তরেই সরব হয় বিজেপি নেতৃত্ব। একে একে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের ভুল সংশোধন করার দাবি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং বলেন, রাহুল গান্ধী সম্ভবত জানেন না যে অনেক দিন আগেই মৎসজীবীদের উন্নয়েনের জন্য একটি পৃথক মন্ত্রকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নেতৃত্বেই তৈরি হয়েছিল অ্যানিমাল হাসবেনড্রারি, ডেয়ারি ও মৎস মন্ত্রক। আর সেই জন্য ২০০৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করতে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি ইতালিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেন, তারা কেবল একটা জিনিসই জানেন, সেটা হল, মিথ্যা, ভয় আর ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিতে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও আক্রামণ করেন রাহুল গান্ধীকে। তিনি বলেন, কর্মজীবনের মূলধন আর চাহিদা পুরণের জন্য কিষাণ ক্রেডিট কার্ড মৎসজীবীদেরও দেওয়া হয়েছে। আত্মনির্ভর প্যাকেজ ২০২০তে মৎসজীবীদের জন্য মৎস সম্পদ যোজনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৎসজীবীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পদুচেরিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই রাহুল গান্ধী ভোট প্রাচারে গিয়েছিলেন পদুচেরিতে। একের পর এক বিধায়ক পদত্যাগ করায় সেখানে কংগ্রেস সরকারের অবস্থা টলমল। তারওপর মঙ্গলবারই লেফট্যানন্ট গভর্নরের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কিরণ বেদীকে। আগামী এপ্রিল মাসেই হতে পারে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই কারণে এখন থেকেই শুরু হয়েছে ভোট প্রচার। তবে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের প্রতিবাদে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছেন দীর্ঘদিন কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে তেমন সক্রিয় ছিল না।