সংক্ষিপ্ত

দেশের রাজনীতিমহল তাঁকে চেনে পিকে নামেই। তাঁর মুখেই উঠে এল বাংলার রাজনীতির ভবিষত্যের খসড়া! তাঁর কথা শুনে অন্তত তেমনই মনে হচ্ছে।

এক সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করতেন প্রখ্যাত ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। দেশের রাজনীতিমহল তাঁকে চেনে পিকে নামেই। তাঁর মুখেই উঠে এল বাংলার রাজনীতির ভবিষত্যের খসড়া! তাঁর কথা শুনে অন্তত তেমনই মনে হচ্ছে। এক সাক্ষাতকারে হায়দরাবাদে বসে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন বাংলার রাজনীতিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেই বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসবে বিজেপি।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গেই তাঁর দাবি এই ধরনের বিবৃতি দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে বিজেপির এজেন্ট বলে তোপ দাগবেন। একদা তৃণমূলের এই ‘স্ট্র্যাটেজি মেকার’ জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দেবে বলেও মত প্রশান্ত কিশোরের। তাঁর আরও বক্তব্য, তৃণমূলের জন্য কঠিন দিন আসছে। এবার সেই ভিডিও তুলে ধরেই এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করল বঙ্গ বিজেপি।

 

 

রাজ্য বিজেপির দাবি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি যে রেজাল্ট করবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারবেনা তৃণমূল। কারণ তৃণমূলে থাকা লোকজন তৃণমূলকে ভোট দেবে না। কারণ রাজ্যের সাধারণ মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতি, তৃণমূলের অত্যাচার, তৃণমূলের অপশাসন, এইসবের ফলে তৃণমূলের থেকে মোহভঙ্গ হয়েছে রাজ্যের সাধারণ মানুষের। এমনকি তৃণমূল নেতাদের যে নিজেদের মধ্যেই লড়াই তা তৃণমূলের হারের এক বড় কারণ হবে। কারণ তৃণমূলের নেতারা সকলেই নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। তারা রাজ্যের মানুষের কথা ভাবে না, তারা রাজ্যের উন্নয়নের কথা ভাবে না, তারা শুধু নিজেদের কথা ভাবে, নিজেদের উন্নয়নের কথা ভাবে। যার ফলে আগামী লোকসভা ভোটে রাজ্যে সাধারণ মানুষ বিজেপিকেই আনতে চলেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।