সংক্ষিপ্ত
বরুণ গান্ধীর কথায় 'লাখিমপুর খেরির ঘটনা আমাদের দেশের গণতন্ত্রের কলঙ্ক।' তাই এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
আবারও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সরব বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi)। সবেমাত্র শুক্রবারই তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। লখিমপুরখেরির ঘটনা থেকে শুরু করে দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষক আন্দোলনের ৭০০ আন্দোনলকারী কৃষকের মৃত্যুর কথা তুলে প্রধাননন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন বরুণ গান্ধী। নিজের সাংসদ প্যাডে লেখা চিঠি সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করেছেন প্রধাননন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বরুণ গান্ধীর কথায় 'লাখিমপুর খেরির ঘটনা আমাদের দেশের গণতন্ত্রের কলঙ্ক।' তাই এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী যাতে কঠোর ব্যবস্থা নেন তারও আবেদন জানিয়েছেন বরুণ গান্ধী। সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিতে গিয়ে বরুণ গান্ধী বলেছেন তিনি, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন প্রত্যাহারকে স্বাগত জানাচ্ছেন। পাশাপাশি নূন্যতম সাহায়ক মূল্য বা এমএসপি ও কৃষক আন্দোলনের বাকি বিষয়গুলিরও দ্রুত নিষ্পত্তি করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি বসেছেন এই বিষয়গুলি যতগ্রুত নিষ্পত্তি হবে ততই দ্রুত ঘরে ফিরতে পারবেন আন্দোনকারী কৃষকরা।
প্রধাননন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে বরুণ গান্ধী মনে করেয়ে দিয়েছেন এই আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত ৭০০ অন্নদাতার মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা বেঁচে থাকার আগে যদি তিনটি কৃষক আইন প্রত্যাহার করা হত তাহলে এতগুলি প্রাণ যেত না। আন্দোলনরত অবস্থায় মৃত কৃষকদের পরিবারপিছু এক কোটি টাকা ক্ষতিপুরণও দাবি করেছেন তিনি।
দীর্ঘ লকডাউনের জ্বলন্ত সমস্যা স্কুলছুট,পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে একাধিক উদ্যোগ
Babul Supriyo: 'এই তৃণমূল আর নয়', নিজের গাওয়া গান অস্বস্তি বাড়ল বাবুল সুপ্রিয়র
Defence Product: ৯০ শতাংশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি হবে দেশে, আশ্বাস দিলেন রাজনাথ সিং
চিঠিতে বরুণ গান্ধী বলেছেন, কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্য মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি এমএসপি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও আশ্বাস না দিলে কৃষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না। কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না করলে সমস্যার কোনও সমাধান হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর এই নিয়ে কৃষকদের মধ্যেও নতুন করে ক্ষোভের সঞ্চার হবে। যা কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপির পক্ষে শুভ হবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বরুণ গান্ধী।
লাখিমপুর খেরি প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বরুণ গান্ধী বলেছেন, উর্ধ্বতন পদে বসে থাকা বিজেপির অনেক নেতাই আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ব্যক্তব্য দিয়েছেন। এজাতীয় বক্তব্য আন্দোলনকে ঘিরে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। তারই ফলস্রুতি লাখিমপুর খেরির ঘটনা। এই কাণ্ডে পাঁচ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার বিরুদ্ধ কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন বরুণ গান্ধী। প্রসঙ্গত লাখিমপুর খেরিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর ছেলের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেম তিনি।
সম্প্রতি বিজেপিতে থেকে বিজেপির তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন বরুণ গান্ধী। এই কারণে তাঁকে পদও হারাতে হয়েছে। কিন্তু তারপরেও যে বরুণ গান্ধীকে লাগাম পরানো যায়নি তা এদিন আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল। জাতীয় রাজনীতির ওলিগলিতে গুঞ্জন বরুণ গান্ধী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি বরুণ গান্ধী।