সংক্ষিপ্ত
বুধবার সাধারণ বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার আগেই কৃষি বাজেট নিয়ে প্রত্যাশা বাড়ছে। কারণ দেশের মূল অর্থনীতির একটি বড় অংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
ভারতের অর্থনীতি এখনও অনেকেটাই কৃষি নির্ভর। আর সেই কারণে কৃষি বাজেট নিয়ে প্রত্যাশাও বেশি কৃষকদের মধ্যে। কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হওয়ার আগেই একনজরে দেখে নিন কৃষি বাজেট নিয়ে কী কী প্রত্যাশা রয়েছে কৃষকদের মনে। কৃষি সেক্টর চাইছে কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশের কৃষির জন্য একটি দৃঢ় পদক্ষেপ। যা কৃষকদের আয় বাড়াবে। পাশাপাশি সাবসিটির ওপর কৃষকদের নির্ভরতা কমিয়ে দেবে। ২০২২ সালে কৃষি বাজেটে কৃষিক্ষেত্র ও তার সহযোগীদের জন্য ১৫-১৬ শতাংশ বাজেট বাড়ান হয়েছিল। যাতে উপকার পেয়েছিল প্রায় ৪৫ শতাংশ। এখনও দেশের গ্রামীণ জনসংখ্যার অধিকাংশই কৃষি অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল।
এবারের বাজেটে কৃষকদের প্রত্যাশা
সারে ভর্তুকি
কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হল সার। যা এখনও এখনও ভর্তুকির ওপর নির্ভর করে। বাজেটের ৫ শতাংশই সারে ভর্তিকির ওপর ধার্য করা হয়। এবার তার কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হতে পারে বলে অনুমান। দেশে যেসব জিনিসগুলিতে ভর্তুকি দেওয়া হয়, তার অধিকাংশই সিংহভাগটাই খরচ করা হয় সারের জন্য। বর্তমানে সার ছাড়াও একাধিক ক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ান হতে পারে। নাইট্রোজন এন সহ একাধিক বিষয়ে ভর্তুকি দেওয়া হতে পারে।
প্রাইস সাপোর্ট সিস্টেমের এলাকা বৃদ্ধি
উৎপাদিত ধান ও গমের ৪০-৪৫ শতাংশ নূন্যতম মূল্য কেনে কেন্দ্রীয় সরকার। গত দুই দশকে যার সিএজিআর অর্থাৎ যৌগিক বার্ষিক হার ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতে বছরের হিসেব অনুযায়ী জোয়ার-বাজরার মত ফসলগুলির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। এই বাজেটে এই জাতীয় শস্যুগুলিকেও যাতে গুরুত্ব দেওয়া হয় তার প্রত্যাশা রয়েছে। পাশাপাশি পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খায় - এমন শস্য চাষের ওপরেও জোর দেওয়া হতে পারে। যা দেশের অর্থনীতিতেও বদল আনতে পারে।
কৃষি প্রযুক্তিতে জোর
চলতি বছরের বাজেটে কৃষি প্রযুক্তিতে জোর দেওয়া হতে পারে। কারণ ইতিমধ্যেই ভারত কৃষি ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার শুরু করেছে। কীটনাশন দেওয়া ও জল দেওয়ার জন্য ড্রোন একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এই অহস্থায় কৃষিতে যাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় তারও প্রত্যাশা রয়েছে কৃষকদের।
কৃষি ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন
কৃষি ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের চাহিদা বাড়ছে। জমির দলিল, রেকর্ড- এগুলি সবই ডিজিটালাইজেশন হয়েছে। পিএম কিষাণ ও সারের ওপর ভর্তুকি - এগুলি সবই বাড়ানোর হতে পারে প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও স্থায়িত্ব
ক্রমশই বাড়ছে দূষণ, সংরক্ষিত জল কমছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল লু বইছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। নির্ধারিত সময় বৃষ্টি বা প্রয়োজনের থেকে বেশি বা কম হচ্ছে বৃষ্টি- এজাতীয় প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করার জন্য কৃষি বাজেটে যে নির্দিষ্ট কোনও সুরাহা থাকে। তেমনই চাইছে দেশের কৃষকরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি টেকসই কৃষি বাজেট প্রত্যাশা করেছে অনেকে।
আরও পড়ুনঃ
ভোট বড় বালাই! অনুব্রত-হীন বীরভূমের কোর কমিটিতে মমতার 'ট্রাম্প কার্ড' কাজল-শতাব্দীরা