Leh violence News: লেহের ঘটনায় এবার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলো কেন্দ্র। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Leh violence News: লেহ-এর হিংসার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র। নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি.এস. চৌহান। এই তদন্তের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি.এস. চৌহানকে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, লেহ্-এ ঘটে যাওয়া এই গুরুতর ঘটনাটির সামগ্রিক দিক খতিয়ে দেখবেন বিচারপতি চৌহান। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশন যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে। সরকার আশা করছে, এই বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ ও পরিস্থিতি উদ্ঘাটন হবে এবং দোষীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। 

জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখ বিষয়ক বিভাগ (Department of Jammu, Kashmir and Ladakh Affairs) কর্তৃক প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি (নম্বর: 12011/09/2025-I) অনুসারে, লেহ থানায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রুজু করা হয়েছে।

এই মামলাটি এফআইআর (FIR) নম্বর ১৪৪/২০২৫ হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছে এবং এতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ (Bharatiya Nyaya Sanhita, 2023)-এর একাধিক ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যে ধারাগুলি প্রয়োগ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে: ১৮৯, ১৯১(২), ১৯১(৩), ১৯০, ১১৫(২), ১১৮(১), ১১৮(২), ৩২৬, ৩২৪, ৩২৬(সি), ৩২৬(এফ), ৩২৬(জি), ৩০৯, ১০৯, ১১৭(২), ১২৫, ১২১(১), এবং ৬১(২)।

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার এই ধারাগুলির প্রয়োগ ইঙ্গিত দেয় যে, মামলাটিতে গুরুতর আঘাত (Voluntarily Causing Hurt/Grievous Hurt), আত্মহত্যায় প্ররোচনা (Abetment of Suicide) বা চেষ্টার (Attempt), অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (Criminal Conspiracy) এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ (Offences against the State) সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে, মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে মামলার সুনির্দিষ্ট কারণ বা অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে গুরুতর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং এর পরবর্তী পুলিশি পদক্ষেপের কারণগুলি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত পরিচালনা করা আবশ্যক। এই বিচার বিভাগীয় তদন্তের নেতৃত্ব দেবেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ডঃ বিচারপতি বি. এস. চৌহান।

তদন্তের কাজে তাঁকে সহযোগিতা করবেন:

মোহন সিং পরিহার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ — বিচার বিভাগীয় সচিব হিসেবে। তুষার আনন্দ, আইএএস — প্রশাসনিক সচিব হিসেবে। (কেআইএনএস) 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।