সংক্ষিপ্ত

Kedarnath Yatra: প্রতি বছর কয়েক মাসের জন্য খোলা থাকে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। শুক্রবার খুলে গেল এই মন্দির। ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ-উন্মাদনা তুঙ্গে। বহু মানুষ কেদারনাথ মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন।

Kedarnath Temple:  অবশেষে অপেক্ষার অবসান। সেজে উঠেছে দেবভূমি উত্তরাখণ্ড। শুরু হয়ে গিয়েছে কেদারনাথ যাত্রা। একদিকে পহেলগাঁওয়ে নাশকতার ভয়াবহতা, অপরদিকে কেদারনাথ যাত্রা। এ যেন ভগবানের 'দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন' করতে আসা। শুক্রবার খুলে দেওয়া হল কেদারনাথ ধামের দরজা। এদিন সকাল সাতটায় পবিত্র কেদারনাথ ধামের দরজা খুলে দেওয়া হয়। ভক্তদের জন্য চার ধাম যাত্রা শুরু হয়েছে ৩০ এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীর দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার বদ্রীনাথ ধামের দরজাও খুলে যাবে। অনুমান করা হচ্ছে জুন থেকে আগস্টের মধ্যে ২৫ লক্ষেরও বেশি ভক্ত কেদারনাথ দর্শনে যেতে পারেন। যদিও এই অনুমান পুরোটাই আবহাওয়ার উপর নির্ভর করছে। কেদারনাথের দরজা খোলার আগেই ১ মে রাত থেকে ভক্তরা মন্দির দর্শনের জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। তবে এবার ভক্তদের এই অপেক্ষার হাত থেকে রেহাই পেতে একটি টোকেন সিস্টেমেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সেজে উঠেছে কেদারনাথ মন্দির

প্রতিবারের মতো এবারেও শুক্রবার সকাল সাতটায় পূর্ণ আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেদারনাথ ধামের দরজা খোলা হয়। হাজার হাজার ভক্তদের মাঝে ঢোল ও জয়ধ্বনিতে পবিত্র দেবভূমির পরিবেশ এক অন্য মাত্রা পায়। এ বছরের বিশেষত্ব, গুজরাটের ঋষিকেশের ফুল কমিটি ১০৮ কুইন্টাল ফুল দিয়ে মন্দিরটি সাজিয়েছে। কেদারনাথের এই দেবভূমির উপমাকে যেন শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। রঙিন ফুলের গন্ধ আর সৌন্দর্যে সত্যি কেদারনাথ পুণ্যভূমির এক অপরূপ নিদর্শন সকল ভক্তদের কাছে। কেদারনাথের দরজা খোলার এক বিশেষ রীতিনীতি অনুসরণ করা হয়। যা প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসারে নির্ধারিত হয়। সকল ভক্তের মুখে একই স্তুতিবাক্য 'জয় বাবা কেদারনাথ।' দরজা খোলার সময় ঢোল ও তূরী বাজানো হয়। এরপর সকল ভক্তরা কেদারনাথ দর্শনের অনুমতি পান। সেখানকার নির্দিষ্ট রীতি মেনে ভক্তরা কেদারনাথের পুজো করেন।

পবিত্র তীর্থস্থান কেদারনাথ

কেদারনাথ হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান। কয়েক বছর আগে এই কেদারনাথধাম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছিল আজও মানুষের মনে তার ছাপ রয়ে গেছে। তবে এখানকার মাহাত্ম্য অনস্বীকার্য। এটি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গাড়োয়াল হিমবাহ থেকে তৈরি মন্দাকিনী নদীর তীরে স্থাপিত একটি শিব মন্দির। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এতটাই দুর্বোধ্য যে এপ্রিল মাসের শেষ থেকে কার্ত্তিক মাসের পূর্ণিমা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকে। তার আগে পর্যন্ত এই দেবভূমি থাকে বরফে চাদরে মোড়া। তখন কেদারনাথ মন্দির হয় ভক্তদের সমাগমের দুর্গম একটি স্থান।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।