- Home
- India News
- ন্যাশনাল হেরাল্ড কেসে ফের বিপাকে মা-ছেলে, সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি পুলিশের
ন্যাশনাল হেরাল্ড কেসে ফের বিপাকে মা-ছেলে, সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি পুলিশের
National Herald Case: ফের বিপাকে রাহুল গান্ধী ও তার মা তথা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তাদের দুজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চার্জ গঠন পুলিশের। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

বিপাকে সোনিয়া গান্ধী
বছর শেষের আগে নতুন করে বিপদ বাড়ল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর। সৌজন্যে-ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা। ফের সোনিয়া গান্ধী ও তার ছেলে তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করল দিল্লি পুলিশের ইকনমিক অফেন্সেস উইং (EOW)। এই ঘটনায় মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে নতুনভাবে দায়ের করা এফআইআর–এ এসব অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী ও তার ছেলে রাহুল।
কী কারণে ফের মামলা?
সূত্রের খবর, এফআইআর-এ স্যাম পিত্রোদা সহ আরও তিনজন ব্যক্তি এবং তিনটি সংস্থার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি হলো অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল), ইয়ং ইন্ডিয়ান ও ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ প্রাইভেট লিমিটেড। অভিযোগে বলা হয়েছে, এখন বন্ধ হয়ে যাওয়া ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার মূল প্রতিষ্ঠান এজেএল-কে “জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করার” উদ্দেশ্যে একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ?
সূত্রের খবর, কলকাতার শেল কোম্পানি ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ ইয়াং ইন্ডিয়ানকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ইয়াং ইন্ডিয়ান একটি অ-লাভজনক সংস্থা, যেখানে সোনিয়া ও রাহুল ৭৬ শতাংশ শেয়ার রেখেছে নিজেদের কাছে। অভিযোগ, এই লেনদেনের মাধ্যমে ইয়াং ইন্ডিয়ান কংগ্রেসকে ৫০ লাখ টাকা দেয় এবং পরবর্তীতে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার সম্পদ-সম্পন্ন অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (AJL)-এর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করে। গত ৩ অক্টোবর দায়ের হওয়া এফআইআরটি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে। ইডির তরফে দিল্লি পুলিশের কাছে সোনিয়া-রাহুল সহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কী কী বলা হয়েছে অভিযোগে?
প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ)-এর ৬৬(২) ধারার আওতায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যে কোনও সংস্থাকে নির্ধারিত অপরাধে এফআইআর দায়ের ও তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিতে পারে। এদিকে, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দিল্লি আদালত রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার একদিন পরই নতুন এফআইআরটি সামনে আসে। আদালত নতুন তারিখ হিসেবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড কেস কী?
২০১২ সালে প্রথম সামনে আসে ন্যাশনাল হেরাল্ড কেস ও কংগ্রেস পরিবারের (গান্ধী পরিবার) বিরুদ্ধে আর্থিক তচ্ছরূপের অভিযোগ। সেই সময় বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দিল্লির ট্রায়াল কোর্টে অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন যে, ‘’অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের সঙ্গে কংগ্রেস নেতারা জড়িত।'' উল্লেখ্য, এজেএলই প্রকাশ করত ন্যাশনাল হেরাল্ড—একটি পত্রিকা। যা ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরু সহ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

