বেইজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাস আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে ২৪ জুলাই ২০২৫ থেকে চীনা নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা শুরু হবে।

ভারত ও চিনের সম্পর্কের বরফ এখন গলতে শুরু করেছে। কৈলাস মানস সরোবর তীর্থযাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্তের পর, এখন ভারত সরকারও চিনা নাগরিকদের জন্য সুখবর দিয়েছে। চিনের মানুষ এখন পর্যটন ভিসায় ভারতে আসতে পারবেন। করোনার সময় বন্ধ থাকা দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষার পর শীঘ্রই ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হবে। বেজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাস আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে ২৪ জুলাই ২০২৫ থেকে চিনা নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা শুরু হবে।

ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া 

ভারতীয় দূতাবাস ভিসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য দিয়ে জানিয়েছে যে চিনা নাগরিকরা এখন ভারত ভ্রমণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য, তাদের প্রথমে অনলাইন ভিসা ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং তারপরে ওয়েবসাইটে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এর পরে, তাদের পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বেজিং, সাংহাই বা গুয়াংজুতে অবস্থিত ভিসা কেন্দ্রগুলিতে যেতে হবে। পাসপোর্ট ফেরতের জন্য যথাযথ 'পাসপোর্ট প্রত্যাহার পত্র' জমা দেওয়াও প্রয়োজন হবে। (ভারত-চিন ভিসা ইস্যু)

২০২০ সালের মার্চ মাসে, যখন বিশ্ব করোনা মহামারীর কবলে ছিল, তখন ভারত সতর্কতা হিসেবে সমস্ত পর্যটন ভিসা নিষিদ্ধ করেছিল। এর পাশাপাশি, ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের পর, দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। এই ঘটনার কারণে, চিনা নাগরিকদের জন্য ভারতের ভিসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

যখন দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে 

২০২০ সালের ১৫ জুন, চিন পূর্ব লাদাখ সীমান্তের কাছে সামরিক মহড়ার নামে বিপুল সংখ্যক সৈন্য জড়ো করেছিল। এর পরে, অনেক এলাকায় চিনা সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ভারতও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয় এবং সেখানে সমানভাবে সেনা মোতায়েন করে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LAC) গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে, যেখানে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য শহিদ হন। ভারত এই আক্রমণের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়, যেখানে প্রায় ৪০ জন চিনা সৈন্য নিহত হয়। এই ঘটনার পর, দুই দেশের সম্পর্কে গভীর উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বজায় থাকে।