সংক্ষিপ্ত
বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেলেন কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা ডিকে শিবকুমার। মাঝ আকাশে চপারের উইন্ডশিল্ডে ধাক্কা মারে পাখি।
বড়সড় বিপদ থেকে বাঁচলেন কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান ডিকে শিবকুমার। মঙ্গলবার মাঝ আকাশেই তাঁর হেলিকপ্টারের ককপিটের কাঁচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেউ বছরে একটি ঘুড়ি আঘাত করে। কেউ আবার বলছে একটি পাখি ধাক্কা মারে, তাতেই রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হয় হেলিকপ্টরটি। যদিও শিবকুমার ঘনিষ্ট মহলে জানিয়েছেন, পাখির ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা। দ্রুত জরুরি অবতরণ করে এইচএএল বা হ্যাল বিমানবন্দরে। কংগ্রেস নেতা জনসভায় যোগদিতে কোলার জেলার মুলবাগিলুরে যাচ্ছিলেন। এই সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর হেলিকপ্টরটি দুপুর ১২টার সময় জাকুকর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলে। গন্তব্য ছিল কোরালের মুরবাগিলু। সেই সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে। শিবকুমারের সঙ্গে পাইলট ছিলেন। আর ছিলেন কন্নড় নিউজচ্যানেলের এক সাংবাদিক। যিনি হেলিকপ্টারেই সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। ডিকে শিবকুমারের ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, হ্যাল বিমান বন্দর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দুরে মাঝ আকাশে হোসকোটের কাছে একটি ইগল পাখি হেলিকপ্টারের উইন্ডশিলে ধাক্কা মারে। উইন্ডশিলটি এই সংঘর্ষের কারণে ভেঙে যায়। তারপরই দ্রুত বিমান বন্দরে অবতরণ করা হয়। যদিও এই দুর্ঘটনার পরই পাইলটলের তৎপরতায় শিবকুমার ও বাকি যাত্রী নিরাপদে রয়েছে। কংগ্রেস নেতা এদিন সকালে বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলে দলের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তারপরই সেখান থেকে তিনি জনসভায় যোগদিতে যান।
কর্ণাটকে কংগ্রেসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা ডিকে শিবকুমার। কর্ণাটকের কংগ্রেস প্রদেশ কমিটির সভাপতি তিনি। গান্ধী পরিবারের অত্যান্ত ঘনিষ্ট। কর্ণাটকের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ নাম। একজন ধনী প্রার্থীও তিনি। যদিও তাঁর ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। সিবিআই-এর মত কেন্দ্রীয় সংস্থাক অভিযোগ হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির মালিক ডিকে। তিনি গত বিধানসভা নির্বাচনে কিংমেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। চলতি বছর নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় জানিয়েছেন তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৪১৫ কোটি। এখানেই শেষ নয়। সমানতালে ধনী তাঁর স্ত্রীও। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫৩.৩ কোটি টাকা। কনকপুরা আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার সমই এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার আরও জানিয়েছেন, তাঁদের অবিভত্ত পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ ৬১ কোটি টাকা। শিবকুমারও আরও দেখিয়েছেন, তাঁর ২২৬ কোটি টাকার ঋণ ক রয়েছে। স্ত্রীর নামে লোন করেছেন ৩৪ কোটি টাকার। পরিবারের আয়ের মূল উৎস হিসেবে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, কৃষিকাজ, বাড়ি বা জমি ভাড়া দিয়ে আয় হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানিতে তাঁর প্রচুর শেয়ার রয়েছে। ব্যবসা থেকেও আয়ের হয়। পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে ডিকে শিবকুমার নির্বাচনী হলফনামায় আরও তথ্য দিয়েছেন। তা হল, সোনাদানা রয়েছে তাঁর। রয়েছে একটি ঘড়ি।
আরও পড়ুনঃ
আগামী পাঁচ বছর কাজের বাজার কেমন হবে? সমীক্ষার রিপোর্ট দেখলে ঘুম ছুটবে ভারতীয়দের
নিজের কথা না বলে বিজেপির পরিকল্পনার কথা বলুন, রাহুল গান্ধীর পরিমর্শ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে
রেকর্ড জিএসটি সংগ্রহ ২০২৩-এর এপ্রিলে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে স্বাগত জানাল শিল্প মহল