সংক্ষিপ্ত

  • মধ্যপ্রদেশ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস-বিজেপির তরজা
  • গণতন্ত্র মেনে চলা হচ্ছে না, একে অপরকে নিশানা 
  • কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ ১৬ বিধায়ক নিয়ে তরজা 
  • আস্থা ভোটে হস্তক্ষেপ নয় সুপ্রিম কোর্টের

কংগ্রেস না বিজেপি? কার দখলে থাকবে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা। তাই নিয়ে আগেই ভারতের প্রথম দুই রাজনৈতিক দলের বিবাদ গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে গোটা দেশ দেখল যুযুধমান দুই রাজনৈতিক দলের তুমুল বিবাদ। অবিলম্বে আস্থা ভোটের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয় এদিন। কংগ্রেসের পক্ষে সওয়াল করেন দুষ্মন্ত দেব। প্রথমেই তিনি অভিযোগ করেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি। ১৫ মাসের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকারকে ফেলে দিতে দলের বিধায়কদের অপহরণ করে বেঙ্গালুরুতে আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের। 

আরও পড়ুনঃ করোনার সংক্রমণ রুখতে রীতিমত গানের তালে পা মেলাল কেরল পুলিশ, দেখুন সেই ভিডিও

আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কে ভীত বৃদ্ধ দম্পতির পাশে দাঁড়িয়ে জনপ্রিয়, নেটিজেনদের প্রশংসায় সহমর্মিতার গল্প

আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কে বলিউড, সেলফ আইসোলেশনে বিগ বি

সংবিধান না মেনে কাজ করছে কংগ্রেস। তাই আস্থা ভোট  নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তিনি বলেন জেতার আশা নেই দেখেই আস্থা ভোটে যেতে রাজি নন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। এটা কী গণতন্ত্র ? কংগ্রেসের আর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই বলেও সওয়াল করেন তিনি। 

মধ্যপ্রদেশ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে বিতর্কের সময় বিজেপি অবস্য পুরনো নিয়ম অনুযায়ী কংগ্রেসের ইতিহাস তুলে কটাক্ষ করে। আইনজীবী বলেন দেশে জরুরী অবস্থা জারি করেছিল কংগ্রেস। তাই সংবিধান না মানার পূর্ব ইতিহাস রয়েছে এই দলের। তার পাল্টা দুষ্মন্ত দেব প্রধানমন্ত্রীর কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা তুলে আনেন। বলেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত স্লোগান সত্যি করতে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পিছপা হয় না বিজেপি। 

এদিন সওয়াল জবাব পর্বে মুকুল রোহতগি অবস্য বলেন বিচারপতি চাইলে বেঙ্গালুরুতে থাকা বিক্ষুব্দ ১৬ কংগ্রেস বিধায়কদের হাজির করা হতে পারে।  প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে  ভিডিও কনফারেন্সের জন্য কর্নাটক হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নিযুক্ত করা যেতে পারে। কিন্তু তাঁর উত্তরে বিচারপতি বলেন বিষয়টি ১৬ জন বিধায়কের ব্যক্তিগত। তিনি কখনই বিধানসভা হাজির হওয়ার জন্য তাঁদের বাধ্য করতে পারেন না। তবে মধ্যপ্রদেশের আস্থা ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নাক গলাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে এদিন। 

এদিন অবস্য কংগ্রেসের বিক্ষুদ্ধ বিধায়কদের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে দেখা করতে গিয়ে রীতিমত হেনস্থা হন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। বিষয়টি নিয়ে তিনি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন।১৬ বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে নিয়ে রীতিমত দঁড়ি টানাটানির খেলায় নেমেছে কংগ্রেস-বিজেপি। কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা সিদ্ধারামাইয়া সোস্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ১৬ জন বিধায়কই কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং-এর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছে কর্নাটক পুলিশ। 

জ্যোতিরাজিত্য সিন্ধিয়া দল বদলের পরই তাঁর অনুগামী কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেন। ৬ জনের পদত্যাগ পত্র গৃহীত বলেও বাকিদের পদত্যাগ পত্র এখনও গ্রহণ করেননি স্পিকার এনপি প্রজাপতি। ৬ বিধায়কের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করায় মধ্যপ্রদেশের সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ১১২। যা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় সোমবার বিধানসভায় কমল নাথ সরকারের শক্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করনোর সংক্রমণের কারণ দেখিয়ে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তাই সরকার গঠনে মরিয়া বিজেপি দ্বারস্থ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের।