সংক্ষিপ্ত
ওয়ার্কিং কমিটিতে আনা হয়েছে, শচীন পাইলট, শশী থারুর, গৌরব গগৈ, দীপা দাশমুন্সী, সৈয়দ নাসের হুসেন। জি-২৩ গ্রুপের সদস্য আনন্দ শর্মাও জায়গা দেওয়া হয়েছে।
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই কংগ্রেসকে ঢেলে সাজালেন প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে। ওয়ার্কিং কমিটিতে নতুন মুখ হিসেবে স্থান পেয়েছেন শচীন পাইলট আর শশী থারুর। যদিও শশী থারুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খাড়গের বিরুদ্ধেপন্থী ছিলেন। অন্যদিকে শচীন পাইল আর অশোক গেহলটের বিবাদ সকলেরই জানা। তাই ওয়ার্কিং কমিটিতে এই দুই নেতাকে নিয়ে এসে বিরোধীদের গণতন্ত্রের বার্তাই কংগ্রেস দিতে চেয়েছে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ওয়ার্কিং কমিটিতে আনা হয়েছে, শচীন পাইলট, শশী থারুর, গৌরব গগৈ, দীপা দাশমুন্সী, সৈয়দ নাসের হুসেন। জি-২৩ গ্রুপের সদস্য আনন্দ শর্মাও জায়গা দেওয়া হয়েছে। শশী থারুর আর আনন্দ শর্মা সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছিলেন ২০২০ সালে। তাঁরা দলের সংস্কার দাবি করেছিলেন। পাশাপাশি পূর্ণ সময়ের প্রেসিডেন্টেরও দাবি ছিল তাঁদের। তবে ওয়ার্কিং কমিটিতে দীপা দাশমুন্সীর ঠাঁই পাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি রাজ্য রাজনীতিতে মমতা বিরোধী বলেই পরিচিত। ইন্ডিয়া জোট গঠন হওয়ার পর থেকেই এই রাজ্যে কংগ্রেস -তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ধির জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু দীপা বা অধীরের মত মমতা বিরোধীরা থাকতে তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
স্ত্রীকে ৮ মাস পরে বাড়িতে এনে কুপিয়ে খুন, থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ পিজি-র ডাক্তারের
সূত্রের খবর শচীন পাইলটকে একটি বড় রাজ্যে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সেই রাজ্যটি কি রাজস্থান, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। কারণ চলতি বছরই রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। তবে রাজ্যের প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেও মসৃণ নয়। তবে ওয়ার্কিং কমিটিতে তরুণ মুখের প্রাধান্য তেমন নেই। কারণ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে ৩৯ জন সদস্যের মধ্য তিন জন রয়েছে ৫০ বছরের নিচে। শচীন পাইলট, গৌরব গগৈ আর কমলেশ্বর প্যাটেল। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উত্তর প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেত্রী ছিলেন। তাঁকে বর্তমানে কোনও রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
চাঁদের মাটিতে ভেঙে পড়ল রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-২৫, গতিতে ভারতকে টেক্কা দেওয়ার হতাশাজনক পরিণতি
ওয়ার্কিং কমিটিতে জায়গা পাওয়ার পর শশী থারুর সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, তিনি কৃতজ্ঞ। সহকর্মীদের পাশাপাশি দলের ও দেশের সেবা করার জন্য তিনি উন্মুখ রয়েছে। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে চান বলেও জানিয়েছেন। তবে শচীন পাইলট এখনও কিছুই বললেননি। কারণ তিনি রাজস্থানের বিদ্রোহী নেতা। ২০২০ সালে গেহলট প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিল।
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির গুরুত্বঃ
এটি কংগ্রেসের নীতি নির্ধারক ও কার্যনির্বাহী হিসেবে কাজ করে। যেকোনও বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়়ান্ত হতে পারে। দলের সংবিধান ব্যাখ্যা আর বাস্তাবয়নের ওয়ার্কিং কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।