কংগ্রসের মহিলা সদস্যকে মার ধর্ষণে অভিযুক্তকে টিকিট দেওয়ার বিরোধিতা  আসন্ন উপনির্বাচনের টিকিট বিলি ঘটনার ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাস মিডিয়ায়  

হাথরসকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আসন্ন নির্বাচনে অক্সিজেন পেতে চাইছে কংগ্রেস। এবার প্রকাশ্যে সেই দলেরই দ্বিচারিতা। উত্তর প্রদেশে উপ- নির্বাচনের জন্য টিকিট বিলি করছিল কংগ্রেস। আর সেই সময়েই দলের পুরুষ সদস্যরা চড়াও হয় এক মহিলার ওপর, যিনি কংগ্রেসের সদস্য হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন দলীয় বৈঠকে। আর সেই দলীয় বৈঠকেই মহিলা সদস্যকে মারধর করার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে দলেরই মহিলা সদস্যকে রীতিমত ঘেরাও করে মারধর করছেন পুরুষ নেতা ও কর্মীরা। প্রশ্ন উঠেছে কেন দলের মহিলা সদস্যের সঙ্গে এই অসালীন আচরণ করা হচ্ছে?

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর কংগ্রেসের সদস্য তারা যাদবকে মারধর করা হয়। তাঁর অভিযোগ এটাই যে তিনি উপনির্বাচনে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে দেওরিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের টিকিট দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন মুকুন্দ ভাস্কর নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। আর তাই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী করার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরই দলীয় পুরুষ নেতা কর্মীরা তাঁর ওপর চড়াও হয়। ঘিরে ঘরে মারধর শুরু করে। 

Scroll to load tweet…

বর্তমানে এই ছবিটি ভাইরাল উত্তর প্রদেশের। নিগৃহীত কংগ্রেস সদস্য তারা যাদব জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তেমনই আশা করছেন তিনি। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন রেখা শর্মা। সোশ্যাল মিডিয়া তিনি লিখেছেন, কী করে এই সব অসুস্থ মানুষরা রাজনীতিতে চলে এসেছেন। এদের গ্রহণ করা হবে কেন বলেও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। 


হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস। পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রা। নিহত দলিত নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই দলের পক্ষ থেকেই ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে নির্বাচনে প্রার্থী করা হচ্ছে কী করে তাই নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মহিলা সদস্যের নিহৃহীত হওয়াও চরম অস্বস্তিকর বলেও দাবি করা করেছে দলের একাংশ।