সংক্ষিপ্ত
ডিকে শিবকুমার বলেছেন, সিঙ্গাপুরে বসে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। তার কাছে পুরো তথ্য রয়েছে। তবে নাম বললেননি তিনি।
সুদূর সিঙ্গাপুরে বসে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে। সোমবার এই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি কারও নাম না করেই শুধুমাত্র বলেছিলেন, সিঙ্গাপুরে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারির বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাঁর কাছে তেমনই তথ্য রয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তবে এর বেশি আর কিছুই বলেলন। বিজেপিকে হারিয়ে কর্ণাটক দখল করেছে কংগ্রেস। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেসের ১৩৫ জন বিধায়ক রয়েছে। এককভাবেই সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করেছিল কংগ্রেস। সেখানে বিজেপি ও জনতা দল সেকুলার অর্থাৎ কুমারস্বামীর দলের মোট বিধায়ক সংখ্যা ৮৫। বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে জেডিএস হাত মেলালেও দুটি দলের মোট বিধায়ক সংখ্যা কংগ্রেসের থেকে অনেকটাই কম।
ডিকে শিবকুমার বলেছেন, 'আমার কাছে তাঁর (এইচডি কুমারস্বামীর) সিঙ্গাপুর সফর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। বেঙ্গালুরুতে একটি গেমপ্ল্যান প্রস্তুর করার পরিবর্তে তারা অন্য কৌশল গ্রহণ করেছেন। সেই কৌশলই রূপায়িত করতে তারা সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন।' শিবকুবার সিঙ্গাপুর তত্ত্বের কথা শনিবার একবার বললেও রবিবার একাধিকবার বলেছেন।
শুক্রবার বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই ও জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সেখানে তাদের সিঙ্গাপুর নিয়ে প্রশ্নও করা হয়। কুমারস্বামী এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। দুই নেতাই জানিয়েছিলেন বিধানসভায় দুই দলের বিধায়কদের সঙ্গে সমান আচরণ করা হচ্ছে না। দুই দলের বিধায়কদের সঙ্গে শৃঙ্খলাহীন ও অনিয়মিত আচরণ করা হচ্ছে। সেই কারণে ১০জন বিজেপি বিধায়ককে বরখাস্ত করা হয়েছে। যা নিয়ে আগামী দিনে দুই দলই একত্রিয় হয়ে আন্দোলনে নামবে। একই সঙ্গে বিজেপি আর জনতা দল সেকুলার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে লড়াই করবে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সব রকম লড়াইয়ে তারা একসঙ্গে থাকবে।
শুক্রবার বিজেপি নেতাদের পাশে বসিয়ে এই ঘোষণার পরই রবিবার কুমারস্বামী সিঙ্গাপুর রওনা হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে তাঁর এই সফরের কারণ প্রকাশ করা হয়নি। তবে ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এটি সম্পূর্ণ একটি পারিবারিক সফর। রবিবার কুমারস্বামী সিঙ্গাপুর যান। আর সোমবারই ডিকে শিবকুমার কংগ্রেস সরকার ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব হন। গোটা ঘটনা কাকতালীয় না সত্যিই কংগ্রেস সরকার ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে তা নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে জেডি(এস) সুপ্রিম তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া গত সপ্তাহেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এনডিএ-এর সঙ্গে জোট গঠনের কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই। তিনি দলের বিধায়কদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন। সেখানেই তিনি বলেন তাঁর দল একাই লড়াই করবে। এনডিএ বা ইন্ডিয়া কোনও জোটেরই অংশ হবে না তাঁর দল। তবে বিজেপি শিবকুমারের বক্তব্য পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
Manipur Violence: মণিপুরের হিংসা বন্ধ করতে কুকি-মেইতিদের মধ্যে সুসম্পর্কের প্রয়োজন: পল্লব ভট্টাচার্য
আবারও বিপাকে ইরমান খান, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি