সংক্ষিপ্ত
উত্তরপ্রদেশের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম করিশ্মা সিং যাদব। ফিরোজাবাদের এক স্কুলের শিক্ষিকা তিনি। কোনও কাজের জন্য সম্প্রতি তিনি মইনপুরিতে গিয়েছিলেন।
পরনে জিন্স ও কুর্তি। পোশাক একেবারেই সাধারণ। পিঠে ব্যাগ। আর মাথায় টেনে বাঁধা রয়েছে চুল। পেশায় তিনি একজন স্কুল শিক্ষিকা। সম্প্রতি এহেন এক মহিলার জিন্সের পকেট থেকে উদ্ধার করা হল দেশীয় বন্দুক। যা 'দেশি কাট্টা' নামেও পরিচিত। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মইনপুরিতে। অস্ত্র-সহ ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম করিশ্মা সিং যাদব। ফিরোজাবাদের এক স্কুলের শিক্ষিকা তিনি। কোনও কাজের জন্য সম্প্রতি তিনি মইনপুরিতে গিয়েছিলেন। এদিকে এক মহিলা বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই অনুযায়ী তল্লাশি শুরু করে তারা। এরপর শহরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে অস্ত্র-সহ করিশ্মাকে গ্রেফতার করা হয়।
করিশ্মা ওই এলাকায় পৌঁছানোর আগেই শুরু হয়েছিল তল্লাশি। এরপর তিনি ওই এলাকায় পৌঁছাতেই তাঁর তল্লাশি শুরু করেন মহিলা পুলিশ কর্মী। ঠিক তখনই তাঁর জিন্সের পকেট থেকে দেশীয় বন্দুক উদ্ধার করা হয়। একজন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, "তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা প্রথমে মহিলাটিকে খুঁজে বের করেছি। আর তাঁর কাছ থেকে বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন- স্কুল খুলতেই করোনার থাবা, আক্রান্ত পড়ুয়া থেকে শিক্ষক
সামনে এসেছে এই ঘটনার ভিডিও। তল্লাশির সময়ই কেউ ভিডিওটি করেছিলেন। তারপর তা পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এভাবেই সেই ভিডিও ভাইরা হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একজন মহিলা কনস্টেবল ওই শিক্ষিকার পোশাকে তল্লাশি চালাচ্ছেন। ঠিক তখনই নীল জিন্স পরা শিক্ষিকার পকেট থেকে ৩১৫ বোরের দেশি তৈরি পিস্তল বেরিয়ে আসে। এরপর তা তুলে দেওয়া হয় সেখানে উপস্থিত অন্য এক পুলিশ কর্মীর হাতে।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় উদ্বোধন করলেন মোদী, কিনলেন প্রথম টিকিটাই
শিক্ষিকার পকেট থেকে পিস্তল পাওয়া মাত্রই তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। মইনপুরীর পুলিশ সুপার অজয় কুমার বলেন, কেন ওই মহিলা নিজের সঙ্গে বন্দুক রেখেছিলেন তা জানা যায়নি। কার কাছ থেকেই বা তিনি ওই বন্দুক কিনেছিলেন তাও স্পষ্ট নয়। তা জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই মহিলাকে। এই বিষয়ে নেটিজেনদের একাংশের অনুমান, যোগী রাজ্যে যেভাবে মহিলাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয় তার হাত থেকে বাঁচতে আত্মরক্ষার্থেই ওই পিস্তল রেখেছিলেন শিক্ষিকা।