সংক্ষিপ্ত
বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের অভিযোগে শঙ্কর মিশ্রকে ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১১ জানুয়ারি তার জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।
বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগে দিল্লির একটি আদালত এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী শঙ্কর মিশ্রকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল যাত্রীকে। পুলিশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন বিচারক।
পুলিশ শঙ্কর মিশ্রকে জিজ্ঞাসাবেদর জন্য তিন দিনের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল। পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছিল, তিন কেবিন ক্রু সদস্য, দুই ক্যাপ্টেন ও অন্যান্য যাত্রীদের সাহায্য শঙ্কর মিশ্রকে চিহ্নিত করা হবে। পাশাপাশি তাকে জেরা করা হব। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেস অনমিকা পুলিশের আবেদন খারিজ করে দিয়ে শঙ্কর মিশ্রকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। তিনি বলেছেন, কেবিন ক্রু, সহযাত্রী-সহ অন্য যাত্রী ও সাক্ষীদের বক্তব্য রেকর্জ করার জন্য শঙ্কর মিশ্রকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর কোনও প্রয়োজন নেই। তার অনুপস্থিতিতেই জেরা করা যেতে পারে। বিচারক জানিয়েছেন, 'শুধুমাত্র জনগণের চাপ রয়েছে বলে এটা করবেন না। সকলেই আইন মেনে চলতে হবে।'অন্যদিকে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে আগামী ১১ জানুয়ারি।
শনিবার দিল্লি পুলিশ ব্যাঙ্গালুরু পুলিশের সাহায্যে শঙ্কর মিশ্রকে গ্রেফতা করে। বেশ কয়েক দিন ধরেই শঙ্কর মিশ্রের গতিবিধি ট্র্যাক করছিল পুলিশ। তাতেই দেখা গেছে সে রয়েছে বেঙ্গালুরুর একটি গেস্টহাউসে। দিল্লির সেখান থেকেই গ্রেফতার করে। নিয়ে আসে দিল্লিতে। আজ তোলা হয়েছিল আদালতে।
গত বছর ২৬ নভেম্বর নিউইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বিজনেস ক্লাসে মদ্যপ অবস্থায় এক প্রবীণ নাগরিকের গায়ের প্রস্রাব করে দেয় শঙ্কর মিশ্র। এয়ার ইন্ডিয়াকেই প্রথম অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহিলা। তারপর এয়ার ইন্ডিয়া পুলিশের দ্বারস্থ হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৪ জানুয়ারি দিল্লি পুলিশে এফআইআর দায়ের করা হয়।
দিল্লি পুলিশের বিমান বন্দরে দায়িত্বে থাকা ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে দিল্লি পুলিশের একটি দল বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং মামলার আরও তদন্ত চলছে। বেঙ্গালুরুর এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন তদন্তে তাদের পক্ষ থেকে যাবতীয় সাহায্য করা হয়েছে। তদন্তকারী এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, গত ৩ জানুয়ারি থেকে শঙ্কর মিশ্র তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেই সময় তার শেষ অবস্থান যেখানে ছিল সেখান থেকেই তাকে ট্র্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তবে শঙ্কর মিশ্রকে পাকড়াও করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল তদন্তকারীদের। কারণ গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছিল শুক্রবার রাতে শঙ্কর ছিল মাইসোরে। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই শঙ্কর মিশ্র পালিয়ে যায়। সেখান থেকে বেঙ্গালুরুর চিনাপ্পা লেআউটের হোমস্টেতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে শঙ্কর মিশ্র তদন্তে কোনও রকম সহযোগিতা করছে না। বারবার বয়ান বদল করছে। অন্যদিকে শঙ্কর মিশ্র জানিয়েছে, সে বিমানে মদ্যপ অবস্থায় ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় তার এক বন্ধুর সঙ্গে গাড়িতে করে দীর্ঘ ভ্রমণ করেছিল। সেই কারণে তার ঘুম ঠিকমত হয়নি। সে আরও জানিয়েছে বিমানে কী হয়েছিল তা তার মনে নেই। আর সেই ঘটনার জন্য সে ক্ষমাপ্রার্থী নয় বলেও জানিয়েছে। অন্যদিকে শঙ্কর মিশ্রকে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা ওয়েলস ফার্গো শুক্রবার বরখাস্ত করে। সে সংস্থার ভারতের কর্মী ছিল। মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট অধ্যয়ন করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন।
আরও পড়ুনঃ
G-20 Kolkata: জি-২০র প্রথম বৈঠকের জন্য প্রস্তুত কলকাতা, সেজে উঠেছে তিলোত্তমা
Pravasi Bharatiya Divas: প্রবাসী ভারতীয় দিবসে অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, কাল শুরু ইন্দোরে
Joshimath Sinking: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বদ্রীনাথের প্রবেশদ্বার যোশীমঠ, দেখুন ভয়ঙ্কর ছবিগুলি