সংক্ষিপ্ত
কমিশন সুপারিশ করেছে যে দীর্ঘ সময়ের জন্য পাবলিক প্লেস অবরুদ্ধ করা মোকাবেলা করার জন্য একটি নতুন আইন তৈরি করা হোক বা সংশোধনের মাধ্যমে ভারতীয় দণ্ডবিধি বা ভারতীয় বিচারিক কোডে এর সাথে সম্পর্কিত একটি নির্দিষ্ট বিধান চালু করা হোক।
আইন কমিশন পরামর্শ দিয়েছে যে যারা সরকারী সম্পত্তির ক্ষতি করে তারা তাদের তৈরি করা ক্ষতির সমান পরিমাণ জমা দিলে, তবেই জামিন পাবে। আইন কমিশনের দাবি এই পদক্ষেপটি অবশ্যই এই ধরনের কাজগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হিসাবে কাজ করবে। বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) ঋতুরাজ অবস্থির নেতৃত্বাধীন কমিশন পরামর্শ দিয়েছে যে বিক্ষোভ চলাকালীন দীর্ঘ সময়ের জন্য পাবলিক প্লেস এবং রাস্তা অবরোধ করার বিষয়টি মোকাবেলা করার জন্য একটি কড়া আইন তৈরি করা উচিত।
কমিশন সুপারিশ করেছে যে দীর্ঘ সময়ের জন্য পাবলিক প্লেস অবরুদ্ধ করা মোকাবেলা করার জন্য একটি নতুন আইন তৈরি করা হোক বা সংশোধনের মাধ্যমে ভারতীয় দণ্ডবিধি বা ভারতীয় বিচারিক কোডে এর সাথে সম্পর্কিত একটি নির্দিষ্ট বিধান চালু করা হোক।
আইন কমিশন সরকারকে বলেছে, "প্রিভেনশন অফ ড্যামেজ টু পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্টের অধীনে অপরাধ সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং শাস্তির ভয় সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি রোধে একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসাবে প্রমাণিত হবে।"
এতে জামিনের শর্ত আরো কঠোর করতে ১৯৮৪ সালের আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়। কমিশন বলেছে, “যদি কোনো সংগঠনের ডাকা বিক্ষোভ, ধর্মঘট বা বনধের ফলে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়, তাহলে ওই সংগঠনের কর্মীরা উসকানি দেওয়ার অপরাধে দোষী হবেন।"
এতে বলা হয়েছে যে জনসম্পদ একটি দেশের পরিকাঠামোর ভিত্তি তৈরি করে, যা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো শক্তিশালী করে। মণিপুরে সাম্প্রতিক "জাতিগত হিংসা", কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ২০১৩ সালের মুজাফফরনগর দাঙ্গা, ২০১৫ সালের পতিদার সংরক্ষণ আন্দোলন এবং অন্যান্যগুলির উল্লেখ করে কমিশন বলেছে যে এই ধরনের আন্দোলনগুলি দেশের সম্পত্তির ক্ষতি এবং ধ্বংসের গল্প তৈরি করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।