সংক্ষিপ্ত
- রাজধানীর বুকেই মিলল দাউদ ইব্রাহিমের জাল নোটের চক্র
- দিল্লি পুলিশের হাতে আটক এক নেপালি নাগরিকের কাছ থেকে ৫.৫ লক্ষ টাকার জাল নোট মিলেছে
- তার কাছ থেকে জানা গিয়েছে দাউদের দুই শাগরেদ তাকে ওই টাকা দিয়েছিল
- পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে দিল্লিতে আসত জাল নোট
রাজধানীর বুকেই সন্ধান মিলল দাউদ ইব্রাহিমের ভারতীয় নোট জাল করার আন্তর্জাতিক চক্রের। দিল্লি পুলিশের দাবি শনিবার তারা আলম আনসারি নামে নেপালের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে, তার কাছ থেকে ২০০০ টাকার জাল নোটে মোট ৫.৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। আনসারি জানিয়েছে, দাউদের দুই শাগরেদ তাদের ওই টাকা দিল্লির এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে দিয়েছিল।
এই জাল নোটগুলি পকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে পাঠানো হতয বিহার-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত রৌক্সাল দিয়ে নোটগুলি নিয়ে ভারতে প্রবেশ করা হয়েছিল। এইভাবে নিয়মিত জাল নোট দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চল, বিহার ও ভারতের অন্যত্র ছড়িয়ে দেওয়া হত।
আরও পড়ুন - ফের বিতর্কে অরুন্ধতী, ধুয়ে দিলেন নেটিজেনরা! সমালোচনা এল পাকিস্তানিদের থেকেও
আরো পড়ুন - বিয়ের জন্য মিথ্যা গল্প ফেঁদে বস-এর ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে শ্রীঘরে যুবক
আরও পড়ুন - দিল্লি বিমানবন্দরে সামনে ট্যাক্সিতে পাইলটের সর্বস্ব লুঠ, তদন্তে পুলিশ
আরো পড়ুন - পুলিশের উপর চড়াও এলাকার বাসিন্দারা, শূন্যে গুলি করে চম্পট কনস্টেবলের
দিল্লি পুলিশ আরো জানিয়েছে মাস চারেক আগে এই জাল নোট চক্রের সন্ধান পায় তারা। তারপর থেকেই সার্ভেলেন্স বাড়ানো হয়, চক্রের সদস্যদের গতিবিধির উপরও নজর রাখা হচ্ছিল। ২৪ তারিখই দিল্লির নেহরু প্লেস বাস টারপ্মিনাসে নোট নিয়ে আনসারির আসার নির্দিষ্ট খবর পেয়ে সেখানে ওঁত পেতে ছিল পুলিশ। দুপুর ২টো নাগাদ সে পৌঁছতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আনসারিকে জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত নেপাল ও দিল্লির কয়েকজন সদস্যের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। গত পাঁচ বছ ধরেই আনসারি এই কাজ করে আসছিল। আর এইভাবে অন্তত ১ কোটি টাকার জাল নোট সে ভারতে নিয়ে এসেছে। তার মতো আরও অনেকেই নেপাল থেকে একই পথে ভারতে জাল নোট নিয়ে আসে।
সে আরও জানিয়েছে, ২০১৬ সালে বিমুদ্রাকরণের পর অল্প কিছুদিন জাল নোটের কারবার বন্ধ ছিল। তারপর ফের আগের মতোই রমরমিয়ে চলছে জাল নোটের ব্যবসা। দিল্লি পুলিশের বক্তব্য, আনসারির কাছ থেকে উদ্ধার করা জাল নোটগুলি এতটাই পাকা হাতে তৈরি যে, খালি চোখে দেখে সেগুলিকে জাল বলে চেনা সম্ভব নয়। তবে এই চক্রে দাউদ ইব্রাহিমের নাম উঠে আসাটাই সবচেয়ে ভাবাচ্ছে পুলিশকে।