সংক্ষিপ্ত

সরকারের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বেশ কিছু পেট্রল ও ডিজেল চালিত গাড়িকে নিষিদ্ধ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বছর শেষে শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই দিল্লিতে আরও বাড়ল দূষণের মাত্রা। গতকালই সাব-কমিটির বৈঠকে দেখা গিয়েছে রাজধানীর বায়ুর গুণমানের আরও অবনতি হয়েছে। শান্ত বাতাস এবং স্থিতিশীল বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার কারণেই এই অবনতি বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার দিল্লির ২৪ ঘন্টার গড় AQI দাঁড়িয়েছে ৩৯৯-এ। এই সূচক ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকলে 'খারাপ', ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে খুব খারাপ এবং ৪০১ থেকে ৫০০-এর মধ্যে গুরুতর হিসেবে বিবেচিত হয়। গতকাল পর্যন্ত দিল্লির বাতাসের মান গুরুতর রকমের দূষিত ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বেশ কিছু পেট্রল ও ডিজেল চালিত গাড়িকে নিষিদ্ধ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এর আগে, বুধবার কেন্দ্রের বায়ু মানের প্যানেল বলেছিল যে দিল্লি-এনসিআর-এ কয়লা সহ অননুমোদিত জ্বালানী ব্যবহার করে শিল্পগুলি 1 জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে যাবে এবং তাদের উপর ভারী জরিমানা আরোপ করা হবে। তবে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কম সালফার কয়লা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খড় পোড়ানো, অক্টোবর-নভেম্বরে দিল্লি-এনসিআর-এ বিপজ্জনক দূষণের মাত্রার পিছনে একটি প্রধান কারণ। এই বছর পাঞ্জাবে ৩০ শতাংশ এবং হরিয়ানায় ৪৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷ একটি সরকারি প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে যমুনায় দূষণকারী লোড গত পাঁচ বছরে যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।

একদিকে দিল্লির ক্রমবর্ধমান দূষণের মাত্রা অন্যদিকে হারকাঁপানো ঠান্ডায় বিধস্ত দিল্লিরবাসী। তীব্র ঠান্ডার পাশাপাশি ঘন কুয়াশার চাঁদরে মোড়া দিল্লি। বছর শেষে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ উত্তর ভারতের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল জুড়ে। গত কয়েকদিন ধরেই ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমেছে দিল্লির তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ আরও কমে ৫ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল বেশ কিছু জায়গায়। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার জেরে কমেছে দৃশ্যমান্যতাও। শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন। চাবুকের মত শীতের সঙ্গে কুয়াশার জেরে দৃশ্যমান্যতা কমে যাওয়ায় রাজধানীতে ব্যহত যান চলাচলও। শুধু দিল্লি নয়, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডের বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ।

আরও পড়ুন - 

বছরের শেষ দিনেও পড়ল না কনকনে ঠান্ডা, নতুন বছরে কি পড়বে জাঁকিয়ে শীত?

দেশ জুড়ে ৬৩ লক্ষ মামলা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে শুধু আইনজীবীদের অনুপস্থিতির কারণে-প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়

আগামী ২০২৩ সালের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে নয়া সংসদভবনে, দাবি সংসদীয় সুত্রের