সংক্ষিপ্ত

  • সকাল ৮টা থেকে শুরু দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন
  • সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ
  • ফলঘোষণা হবে ১১ ফেব্রুয়ারি
  • ভোট ঘিরে কড়া নিরাপত্তা রাজধানী জুড়ে


দিল্লিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফের ফিরবেন কেজরি নাকি দেশের মতই এবার রাজধানী দেখবে মোদী ম্যাজিক, তা নির্বাচন করতে ভোট শুরু হল দিল্লি বিধানসভায়। এদিন রাজধানীর ৭০টি বিধানসভা আসনেই ভোট শুরু হয়েছে। প্রার্থীদেক ভাগ্য নির্ধারণ করছেন ১ কোটি ৪৮ লক্ষ ভোটার।

কিউআর কোড থেকে মোবাইল অ্যাপ- এবারের দিল্লি ভোটে প্রযুক্তিকে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন। রাজধানী সহ গোটা দিল্লি জুড়েই করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে শাহিনবাগ সহ বিভিন্ন স্মর্শকাতর এলাকায়।

আরও পড়ুন: বিকেলের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, রবিবার ফের কমছে শহরের তাপমাত্রা

সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে দিল্লিতে। এবার ৭০টি বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬৭২ জন প্রার্থী। তবে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নয়াদিল্লি আসনে, এখানে লড়ছেন মোট ২৮ জন প্রার্থী। অন্যদিকে প্যাটেল নগরে প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ৪ জন। এবার দিল্লি বিধানসভা ভোটে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮১ লক্ষ, মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৬৬ লক্ষ। প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন ২.৩২ লক্ষ ভোটার। প্রবীন ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৬৯ জন। 

আরও পড়ুন: করোনার মৃত্যু মিছিল ছাড়িয়ে গেল সার্সকেও, হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি কারখানার উৎপাদন

নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভের আবহেই এবার দিল্লির বিধানসভা ভোট। ফলে দিল্লিবাসী কী সিদ্ধান্ত নেন তা বিজেপির কাছে বড় অ্যাসিড টেস্ট। গত বিধানসভা ভোটে ২০১৫ সালে দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টি আসন দখল করেছিল আম আদমি পার্টি। ভোটে বিনামূল্যে জল-বিদ্যুৎ-চিকিৎসা, সরকারি শিক্ষাকে হাতিয়ার করেছেন আপ প্রধান তথা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অন্যদিকে ভোটে শাহিনবাগের সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে ইস্যু করেছে পদ্মশিবির। আপ-বিজেপির লড়াইয়ের মাঝে অনেকটাই পিছিয়ে কংগ্রেস। যদিও সিএএ-এনআরসি বিরোধী ক্ষোভকে পুঁজি করে ভোটের ময়দানেম নেমেছে হাত শিবিরও

ভোটে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তারজন্য তৎপর নির্বাচন কমিশন। রাজধানীর নিরাপত্তার ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়েছে। সেকারণে গত লোকসভা ভোটের তুলনায় বিধানসভা নির্বাচনে চারগুণ বেশি কেন্দ্রীয় সমশ্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ৪২ হাজার দিল্লি পুলিশের কর্মীর পাশাপাশি ভোটের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছেন ১৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী। এছাড়াও ভোটের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন ১৯ হাজার হোমাগার্ড।