সংক্ষিপ্ত
দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর ২৫ বছরের নার্গিসের সঙ্গে তাঁরই ২৮ বছরের খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু নার্গিস পরিবারের মধ্যে অর্থাৎ নিজের খুড়তুতো দাদাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি।
দিল্লিতে ছাত্রী খুনের তদন্তে নেমে বড় তথ্য হাতে পেল পুলিশ। পুলিশ জানিছে, ছাত্রীকে খুন করেছে তারই নিজের খুড়তুতো ভাই। বিয়েতে রাজি না হওয়ার কারণেই রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর ২৫ বছরের নার্গিসের সঙ্গে তাঁরই ২৮ বছরের খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। পরিবারের মধ্যেই এই কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু নার্গিস পরিবারের মধ্যে অর্থাৎ নিজের খুড়তুতো দাদাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। আর সেই কারণেই প্রাণ দিতে হল। পুলিশ আরও জানিয়েছেন, নার্গিসের দাদা ইরফান ফুডডেলিভারি সংস্থায় কাজ করত। তার উপার্জন তেমন ভাল ছিল না। অন্যদিকে নার্গিয় বিয়ে পাস করে একটি কোচিংএ চাকরির জন্য পড়ৃাশুনা শুরু করেছিল। তাই সে এখনই বিয়ে করতে রাজি ছিল না। তাতেই খুন হতে হয় বলও মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ইরফানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নার্গিসকে অরবিন্দ কলেজের সামনে একটি পার্কের মধ্যে হত্যা করে সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় ইরফান। তারপরই জেরায় খুনের কথা কবুল করেন। জেরায় ইরফান জানিয়েছে, বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় বিরক্ত হয়েছিল নার্গিস। তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু সে জানত নিয়মিত নার্গিস ওই পার্কের মধ্যে দিয়ে ফেরে। সেই কারণেই শুক্রবা সকাল থেকেই ইরফান পার্কে নার্গিসের জন্য অপেক্ষা করছিল। এদিন দুপুর ১২টার সময় ইরফান নার্গিসের দেখা পায়। সে তখনই কথা বলতে চায়। কিন্তু আপত্তি জানায় নার্গিস। তারপরই দুজনের মধ্যে সামান্য কথাকাটা হয়। ইরফান নার্গিসকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। ইরফান আরও জানিয়েছিন বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিন দিন আগেই সে নার্গিসকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশ খুনের অস্ত্র রড উদ্ধার করেছে। নিহতের শরীরের পাশেই রডটি পাওয়া গেছে।
দিল্লি পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'আমরা তথ্য পেয়েছি। দক্ষিণ দিল্লির মালভিয়া নগরের অরবিন্দ কলেজের পার্কে একটি ২৫ বছরের তরুণীর দেহ পাওয়া গেছে। মৃতার শরীরের কাছে একটি লোহার রড রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে রডের আঘাতে ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার মাথা দিয়ে প্রচুর রক্ত বেরিয়েছে।'দিল্লি পুলিশের এক প্রবীন কর্তা জানিয়েছেন পার্কের ভিতরে অপরাধ হয়েছে। পার্কের মধ্যে অভিযুক্ত কী করে লোহার রড নিয়ে ঢুকল তাই এখন ভাবাচ্ছে দিল্লি পুলিশকে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে দিল্লির মহিলা কমিশন। কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, মালভিয়া নগরের মত জনপ্রিয় এলাকায় একটি মেয়েকে রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। দিল্লি আর এখন নিরাপদ নেই। একে কারও কিছু যায় আসে না। মেয়েদের নাম পরিবর্তন করেও অপরাধ বন্ধ হয় না।