সংক্ষিপ্ত
সরকারি আইনজীবি অমিত প্রসাদ ২০২০ সালের ১৫-১৬ জানুয়ারি চাঁদবাগে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকের উদ্ধৃতি করে এদিনের শুনানি শুরু করেন। তিনি বলেছেন, এক সাক্ষীর বয়ান অনুসারে ডান্ডা, পাথর, লাল সঙ্কার গুঁড়ো, অ্যাসিড জোগাড় করা হয়েছিল। কিন্তু এই আন্দোলনকেই উমর খালিদরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বলে দাবি করেছিল।
২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির দাঙ্গায় (Delhi Riot) বড় ভূমিকা ছিল জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) ছাত্র ও ছাত্র আন্দোলনের নেতা উমর খালিদের (Umar Khalid)। বুধবার দিল্লি আদালতের (Delhi Court) কারকাডুবা আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির সময় সরকারি আইনজীবি জেলবন্দি উমর খালিদের বিরুদ্ধে প্রচুর পরিমাণে সাক্ষ্য প্রমাণ পেশ করেন। তাতেই স্পষ্ট যে দিল্লি কাঁপানোর ছক ছিল। উমর খালিদের জামিনের আবেদনের শুনানি চলছে। ইউএপিএ (UAPA)-র অধীনে আটক রয়েছেন উমর খালিদ।
সরকারি আইনজীবি অমিত প্রসাদ ২০২০ সালের ১৫-১৬ জানুয়ারি চাঁদবাগে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকের উদ্ধৃতি করে এদিনের শুনানি শুরু করেন। তিনি বলেছেন, এক সাক্ষীর বয়ান অনুসারে ডান্ডা, পাথর, লাল সঙ্কার গুঁড়ো, অ্যাসিড জোগাড় করা হয়েছিল। কিন্তু এই আন্দোলনকেই উমর খালিদরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বলে দাবি করেছিল। সেখানেই এই ধরনের জিনিস সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের একটি স্ক্রিনশটও আদালতের উপস্থান করেন। আদালতে ওয়াইস নামে এক সাক্ষীর কাছে আইনজীবী জানতে চান কেন দিল্লি পুলিশকে আক্রমণ করার জন্য এজাতীয় সামগ্রী তারা জোড়াগ করেছিলেন।
দিল্লিতে দাঙ্গার জন্য উমর খালিদ একটি ষড়যন্ত্রের ছক কষছিলেন- এটাই প্রমাণ করার জন্য সরকারি আইনজীবি অমিত প্রসাগ একজন সাক্ষীর বিবৃতি পড়ে শোনান। সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার মুসলমান বিরোধী। শুধুমাত্র ভাষণ দিয়ে কাজ চলবে না। প্রয়োজনে রক্ত ঝরাতে হবে। প্রসাদ আদালতে আরও জানান, জামিয়া সমন্বয় কমিটি, দিল্লি প্রতিবাদ সমর্থন গ্রুপ- সহ একাধিক হোয়াটঅ্যাপগুপগুলি সেই সময় সক্রিয় ছিল। সেখান প্রতিবাদীদের একাধিক কথাবার্তার রেকর্ড রয়েছে।
দিল্লি প্রোটেস্ট সাপোর্ট গ্রুপের একাধিক বার্তা তুলে ধরেন আদালতে। ১৬-১৭ জানুয়ারি ওয়েইস সুলতান খানের একটি চ্যাট দেখিয়ে তিনি বলেন, শব্দের কোনও মানে নেই। তবে হিংসা উস্কে দেওয়ার একাধিক প্রমান স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে রয়েছে। তেমনই একটা বার্তা আদালতে পোড়ে শোনান আইনজীবি। সেখানে বলা হয়েছে এবার আগুন লাগানোর পালা তোর। এই গ্রুপের সদস্য হিসেবে রয়েছেন উমর খালিদ, খালিদ সাইফি ও ডিপিএসসজি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আগেই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ২০২০ সালের জুলাই মাসের দিল্লির দাঙ্গায় জাকির নায়ের ও খালিদ সাইফির মধ্যে একটি সংযোগ খুঁজে পেয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী তাহির হুসেন, উমর খালিদের মত ইসলামপন্থীদের ঘনিষ্ট সহযোগী সাইপি দিল্লির দাঙ্গার জন্য অর্থ জোগাড় করতে মালয়েশিয়ান এক ব্যর্তির সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে তাহির খানের স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানেই নাম উঠে এসেছেন খালিদ সাইফি ও উমর খালিদের।
উমর খালিদের জামিনের আবদনের বিরোধিতা করে অমিত প্রসাদ বলেন এই বিষয়ে আরও বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে। অমিত প্রসাদ একটি বার্তার উল্লেখ করে বলেছেন, খালিদ সাইফিরা দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের ওপর দোষ চাপানের জন্য একটি ছক কষেছিল। সেটাই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে পরিষ্কার। এদিন আদালতে হোয়াটসঅ্যাপ চাট ছাড়াও সিসিটিভি ফুটেজও সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
Telangana CM KCR: 'নির্বাচনের পোশাক পরেন', প্রধানমন্ত্রী মোদীর কড়া সমালোচনা করলেন KCR
জল্পনা উস্কে দিয়ে প্রকাশ্যে কিমের স্ত্রী, পাঁচ মাস তাঁকে দেখা যায়নি কোনও অনুষ্ঠানে
এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীদের জন্য রতন টাটার বিশেষ বার্তা, কী বললেন তিনি শুনে নিন আপনিও