সংক্ষিপ্ত
দিল্লি গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনের কোভিড -১৯ মামলায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাক্ষী হচ্ছে। শনিবার দিল্লিতে ৪৬১টি কোভিড কেস রেকর্ড করা হয়।
নয়াদিল্লিতে ফের ছড়াচ্ছে কোভিড আতঙ্ক। রবিবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৭ জন। শনিবারের তুলনায় যা ৫৬টি কেস বেশি। সিটি হেল্থ ডিপার্টমেন্ট জানাচ্ছে করোনা পজেটিভিটির হার ৪.২১ শতাংশ। যেখানে ১৫ই এপ্রিল পজেটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছিল ২.৩৯ শতাংশে। এই নতুন সংক্রমণের সাথে, রাজধানীর কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮,৬৮,৫৫০ এবং মৃতের সংখ্যা ২৬,১৬০।
দিল্লি গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনের কোভিড -১৯ মামলায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাক্ষী হচ্ছে। শনিবার দিল্লিতে ৪৬১টি কোভিড কেস রেকর্ড করা হয়। মারা যান দুজন। শুক্রবার দিল্লিতে ৩৬৬ জন করোনা আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩২৫।
দিল্লির হাসপাতালের অবস্থা
সোমবার সকাল পর্যন্ত, দিল্লির হাসপাতালে কোভিড -১৯ রোগীদের জন্য ৯৬৬২ টি খালি শয্যা রয়েছে। রাজধানীতে বর্তমানে ৯১৫৬টি খালি কোভিড - ১৯ অক্সিজেন শয্যা এবং ২১৭৪টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। দিল্লির হাসপাতালে কোভিড -১৯ রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর সহ প্রায় ১২৪৬টি আইসিইউ শয্যাও পাওয়া যায়।
এদিকে, ২০শে এপ্রিল পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসবে ডিডিএমএ। ফেস মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার ফের জারি করার বিষয়টি নতুন করে ভাবনাচিন্তা করবে তারা। দিল্লিতে করোনভাইরাস সংক্রমণের বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা ডিডিএমএ বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে। উল্লেখ্য, গত সাতদিনে ৪৮ শতাংশেরও বেশি সংক্রমণ দেখা দিয়েছে সেখানে। ক্রমশ বাড়ছে হোম আইসোলেশনের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার ৩২৫ জন নতুন করে হোম আইসোলেশনে গিয়েছেন। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানো রোগীর সংখ্যা এখন ৫৭৪।
চৌঠা এপ্রিল থেকে করোনা পজেটিভিটি রেট ১.৩৪ শতাংশ ছিল এই হার। আচমকা তা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ চিন্তায় দিল্লি প্রশাসন। পয়লা এপ্রিল যেখানে পজেটিভিটি রেট ছিল ০.৫৭ শতাংশ, সেখানে ১৪ই এপ্রিল বেড়ে দাঁড়ায় ২.৩৯ শতাংশে। গত এক সপ্তাহ ধরে হোম আইসোলেশনের সংখ্যাও বাড়ছে।
তিন দিনের গুজরাট সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান
দেশে কোভিড সংক্রমণে কালো ছায়া, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৯০ শতাংশ
সুপ্রিম কোর্টে বড়ধাক্কা বিজেপির, মন্ত্রীপুত্রের জামিনের আবেদন খারিজ করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
৮ই এপ্রিল দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হন ১৪৬ জন। তখন পজেটিভিটি রেট ছিল ১.৩৯ শতাংশ। সেই সময় হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৩৮৮জন। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বলছেন ১৪ই এপ্রিলের মধ্যে তা বেড়ে ৫৭৪য়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কোভিড বৃদ্ধির কথা আলোচনা করতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালের সভাপতিত্বে ডিডিএমএ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সরকারী বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০ এপ্রিল সকাল এগারোটায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। টিকা কর্মসূচির কি পরিস্থিতি, আলোচনা চলবে তা নিয়েও।