সংক্ষিপ্ত

  • দেশে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে ৩ নম্বরে রয়েছে দিল্লি
  • জাতীয় রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে
  • করোনা হয়েছে এই আতঙ্কে দিল্লিতে আত্মঘাতী এক সরকারি আধিকারিক
  • পরিবারের অন্য কারও যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য চরম সিদ্ধান্ত

মানুষের সংস্পর্শে ছড়ায় করোনা সংক্রমণ। তাই বারবার সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার কথা বলছেন বিষেষজ্ঞরা। আর এই মারণ ভাইরাস থেকে নিজের পরিবারকে বাঁচাতে আত্মহত্যা করে বসলেন শুল্ক দফতরের আধিকারিক। ঘটনাস্থল জাতীয় রাজধানী দিল্লি।

রাজধানীর এই ঘটনা সকলকে হতবাক করে দিয়েছে। পরিবার তাঁর থেকে করোনা সংক্রমণের শিকার হবে, এই আতঙ্কেই আত্মহত্যা করে বসেন ওই সরকারি আধিকারিক। জানা যাচ্ছে দ্বারকা এলাকায় নিজের গাড়িতে অ্যাসিড জাতীয় কোনও তরল খেয়ে আত্মঘাতী হন ৫৬ বছরের ওই আইআরএস আধিকারিক। 

নতুন করে কোনও লকডাউন হচ্ছে না দিল্লিতে, শাহের সবর্দল বৈঠকের পর জল্পনা উড়িয়ে ট্যুইট কেজরির

করোন নিয়ে আরও আশঙ্কার কথা শোনালেন গবেষকরা, ভারতে নভেম্বরে সবচেয়ে তীব্র হবে সংক্রমণ

করোনায় মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে ৯ নম্বরে ভারত, তবে আশা জাগিয়ে দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হল ৫১ শতাংশ

জানা যাচ্ছে, সপ্তাহ খানেক আগে নিজের কোভিড ১৯ পরীক্ষা করান ওই শুল্ক আধিকারিক। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। আশঙ্কিত ছিলেন, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আক্রান্ত হতে পারেন ভেবে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ওই সরকারি আধিকারিকের গাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে, যাতে লেখা ছিল, তিনি আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন, মনে হচ্ছে কোভিড ১৯ ছড়াচ্ছেন, তাঁর পরিবার যাতে সংক্রমমের শিকার না হয় সেই কারণেই চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ওই আধিকারিক। 

সোমবার ময়নাতদন্তের পর ওই আধিকারিকের দেহ তাঁর পরিজনদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুর হয়েছে। ওই আধিকারিকের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। এর আগেও করোনা আতঙ্কে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আত্মহত্যার খবর এসেছে।

এদিকে রাজধানী দিল্লিতে লাগামছাড়া ভাবে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২,২২৪ জন। ফলে দিল্লিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ১,৩২৭ জনের। দিনে দিনে সংক্রমণ বাড়লেও দিল্লিতে ফের লকডাউন লাগু করা হবে না বলে ইতিমধ্যে ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই অবস্থায় রাজধানীতে গণ করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।