সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেস মোদীকে ফাঁসানোর জন্য তাঁর ওপর চাপ দিয়েছিল, বিরেধীদের কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে সরব অমিত শাহ। বললেন কংগ্রেসও কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার করত।
মোদী সরকার বিরোধীদেরা কণ্ঠ স্তব্ধ করতে ইডি, সিবিআই-এর মত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে। এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে দেশের বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি। বিরোধীদের অভিযোগ নরেন্দ্র মোদী সরকার বিরোধীদের টার্গেট করার জন্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে। একটি নিউজ চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেই অভিযোগের উত্তর দেন। তিনি বলেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএস সরকারের আমলে গুজরাটের একটি জাল এনকাউন্টার মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টার্গেট করার জন্য সেই সময় সিবিআই তার ওপর চাপ তৈরি করেছিল।
অমিত শাহ, বলেন, গুজরাটের ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফাঁসানোর জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে চাপ দিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সেই সময় এই বিষয় নিয়ে কোনও উত্তেজনা তৈরি করেনি। তিনি বলেন, লালু প্রসাদ যাদব, জয়ললিতা, রশিদ আলভি-সহ ১৭ জন বিশিষ্ট নেতা ইউপিএ সরকারের আমলে অর্থাৎ ২০১৩ সালের আগে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কারণে সদস্যপদ হারিয়েছিলেন। কারণ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আইনের চোখে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই সময় কেউ কোনও পোশাক পরে প্রতিবাদ করেনি। অথচ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরে প্রতিবাদ দেখান হল সংসদে। অমিত শাহ এদিন বলেন রাহুল গান্ধী শুধুমাত্র মোদীজিকেই গালিগালজ করেননি। গোটা মোদী সম্প্রদায় ও ওবিসি অর্থাৎ পিছিয়ে পড়া মানুষদেরও অপমান করেছেন। অমিত শাহ বলেন তাঁর দল বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে না। সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ তাই পালন করছে। তিনি আরও বলেন দেশের আইন সকলের জন্যই সমান।
অমিত শাহ কর্ণাটকের ভোট নিজেও নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন কর্ণাটকে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে। তাই বিজেপি কারও সঙ্গে জোট বাঁধবে না। কর্ণাটকে বিজেপি রেকর্ডে ভোটে জিতবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে কর্ণাটকে কংগ্রেসের ধর্মের ভিত্তিতে কোটার ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার মেরুকরণের চেষ্টা করছে। বিজেপি তা চায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন অমিত শাহ বিরোধী দলের সাংসদ বা বিধায়কদের ওপর তদন্তকারী সংস্থাগুলির চাপ রয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা পুরোপুরি উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, বিজেপি কখনই বিরোধীদের ওপর মিথ্যা দোষারোপ করেনি। পাল্টা তিনি বলেন কংগ্রেস আমলে নিরাপরাধ পুলিশ অফিসারদেরও কারাগারে রেখে দেওয়া হয়েনি। তিনি বলেন ২০১৪ ও ২০১৯ এর নির্বাচনে দুর্নীতে ইস্যু করেই বিজেপি ক্ষমতা দখল করেছিল। এবারই তাই করবে।
অমিত শাহ বলেন, এনফোর্টমেন্ট ডিরেক্টরেট ১.১০ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে, যার পাঁচ শতাংশই রাজনৈতিক নেতাদের। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন বিজেপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। অভিযুক্ত রাজনীতিবিদ হলেও তারা এই কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে তিনি জরুরি অবস্থার কথা তুলে ধরেও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন রাহুল গান্ধীর ঠাকুমা ১৯ মাসের জন্য গোটা দেশকে অবরুদ্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি মহারাষ্ট্র প্রসঙ্গে একনাথ শিন্ডেকেই আসল শিবসেনা বলে দাবি করেন। বলেন শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে থাকতে চেয়েছিল। এখনও তাই রয়েছে।