সংক্ষিপ্ত
একটি পডকাস্টে বাংলার ‘অধঃপতন’ নিয়ে সঞ্জীবকে প্রশ্ন করেছিলেন ওই শো-এর সঞ্চালক। ওই সাক্ষাত্কারে সঞ্জীববাবু বাঙালির উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাব ও আড্ডার সংস্কৃতির তীব্র সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তথা অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব সান্যালের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়। তাঁর মতে বাঙালিদের মধ্যে ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষার দৈন্য’ রয়েছে। সিগারেট, মদে নিজেকে ডুবিয়ে পাড়ার ঠেকে আড্ডা দিয়ে নিজেকে ‘আঁতেল’ মনে করে। মৃণাল সেনের ছবিই তাঁদের আদর্শ।
একটি পডকাস্টে বাংলার ‘অধঃপতন’ নিয়ে সঞ্জীবকে প্রশ্ন করেছিলেন ওই শো-এর সঞ্চালক। ওই সাক্ষাত্কারে সঞ্জীববাবু বাঙালির উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাব ও আড্ডার সংস্কৃতির তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, 'একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল আকাঙ্ক্ষার বা চাহিদার দারিদ্র্য। যদি তোমার সমাজ ভাবে, জীবনের সর্বোচ্চ পর্যায় হল সংগঠনের (ইউনিয়নের) নেতা হওয়া বা আড্ডার বুদ্ধিজীবী বা কলকাতায় যাকে বলে 'আঁতেল', সেরকম কেউ হওয়া, তাহলে তো আর কিছু করার নেই। তুমি যদি ভাবো, তুমি নিজে কিছু করার চাইতে সারাদিন পানীয় বা ধূমপান করতে করতে পৃথিবীর যাবতীয় ঘটনা নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখবে; বা যেমন মৃণাল সেনের ছবিতে দেখানো হয়, সেটাই যদি সমাজের চাহিদা বা আকাঙ্ক্ষা হয়, তাহলে তুমি তো সেটাই পাবে। তাহলে আর অভিযোগ করা কেন?'
অক্সফোর্ডের তুখোড় ছাত্র সঞ্জীববাবুর মন্তব্যে বেশ চটেছেন নেটনাগরিকরা। একজন লিখেছেন, 'শেষে নিজের মতামত জানানোর জন্য মৃণাল সেনকেও টেনে নামাতে হল? এত ক্ষোভ কীসের?' আর একজন লিখেছেন, 'বাঙালি কি আদৌ এর প্রতিবাদ করবে?' একজন মনে করিয়ে দিয়েছেন, 'এই যে উনি পডকাস্টে বসে এত কিছু বলছেন, এটাই তো একটা আড্ডা! স্রেফ ক্যামেরার সামনে, এই যা ফারাক!' কেউ কেউ অবশ্য পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, 'ঠিকই তো বলেছেন, তেঁতো সত্যি মানতে সমস্যা কোথায়?'
সঞ্জীবের এই মন্তব্যের নিন্দা করে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূল তরফে লেখা হয়েছে, "বাংলাবিদ্বেষী বিজেপি নিজেদের সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক উপদেষ্টা এবং আধুনিক দিনের মীরজাফরদের তালিকায় নতুন সংযোজন সঞ্জীব সান্যাল বাংলার গৌরবময় সংস্কৃতির প্রকাশ্যে সমালোচনা করে নিজেকেই বোকা বানিয়েছেন।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।