সংক্ষিপ্ত
- কাশ্মীরে লাগাতার জঙ্গি দমন অভিযানে সাফল্য
- গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জঙ্গিকে খতম করা হল
- সোপিয়ান ও পাম্পোরে আভিযান চালায় বাহিনী
- মসজিদের ভিতরে লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা
একদিকে দেশে করোনার দাপট, অন্যদিকে লাদাখে চিন সীমান্তে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা, এর মাঝেই জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সেনা। তাতে পরের পর সাফল্যও আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের একবার জঙ্গি দমন অভিযানে সফল হল ভারতীয় সেনা। যৌথ অভিযানে খতম করা গেল ৮ জঙ্গিকে। দুটি আলাদা আলাদা এনকাউন্টারে ৮ সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।
গোয়েন্দা সূত্রে সেনার কাছে খবর আসে, পাম্পোরে একটি মসজিদের ভিতরে আত্মগোপন করে আছে কিছু জঙ্গি। সেই খবর মেলার পরেই ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গিদের মসজিদে থাকা গোপন ডেরা থেকে বের করে আনার জন্যে কাঁদানে গ্যাসও ছোঁড়ে সেনা।
আরও পড়ুন: তবে কী যুদ্ধ বাধছেই, খালি করা হচ্ছে চিন সীমান্ত লাগোয়া একের পর এক গ্রাম
কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিংহ জানান, "পাম্পোরে অপারেশন চালানো হয়েছে মসজিদের শুচিতা কোনওভাবেই লঙ্ঘন না করে।" কাঁদানে গ্যাসের জেরে বাইরে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় জঙ্গিরা। ওই মসজিদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাই আইইডি বা গোলাগুলির প্রয়োগ করেনি সেনা। তবে মসজিদ থেকে বেরিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য় করে গুলি চালানোর চেষ্টা করলে পাল্টা গুলিতে খতম হয় ৩ জঙ্গি।
যে সব বাড়িতে জঙ্গিরা ঘাঁটি গাড়ে, সাধারণত সেগুলি আইইডি দিয়ে বা নাগাড়ে গুলি চালিয়ে ধ্বংস করে দেয় বাহিনী। প্যাম্পোরের অপারেশন তাই বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ধৈর্য বজায় রেখে গুলি বা আইইডি না ছুঁড়ে জঙ্গিদের বার করে আনার জন্য স্থানীয় পুলিশ ও মসজিদ কমিটি জেলা পুলিশ প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সংযম রাখার জন্য সেনা ও সিআরপিএফের প্রশংসা করেছে তারা।
আরও পড়ুন: ২ মেজর সহ ১০ ভারতীয় জওয়ানকে ৩ দিন পর নাকি মুক্তি দিল চিন, আসল সত্যিটা কী
এদিকে যৌথ বাহিনী জঙ্গি দমনে আরেকটি অভিযান চালিয়েছিল সোপিয়ানের মুনান্দ এলাকায়। সেখানে সেনার গুলিতে নিকেশ হয় আরও ৫জঙ্গি। তবে মৃত জঙ্গিদর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার তথ্য পেয়ে সোপিয়ান ও পাম্পোর- দুই এলাকাতেই তারা অপারেশন শুরু করে। সোপিয়ানে খতম হয় ৫ জঙ্গি, পাম্পোরে ৩ জন। গত ২ সপ্তাহে এই নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে ২৪ জনেরও বেশি জঙ্গিকে খতম করল যৌথ বাহিনী।