সংক্ষিপ্ত
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন একনাথ শিন্ডে। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার অনুরোধ না ঠেলতে পেরে দুই বারের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ শিন্ডের ডেপুটি হিসেবেই শপথ গ্রহণ করলেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন একনাথ শিন্ডে। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার অনুরোধ না ঠেলতে পেরে দুই বারের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ শিন্ডের ডেপুটি হিসেবেই শপথ গ্রহণ করলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান। একই সঙ্গে শপথ বাক্য পাঠ করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। মহারাষ্ট্রের এই পালাবদলের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একনাথ শিন্ডে তাঁর অনুগামী বিধায়ক ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন এবার মহারাষ্ট্র উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাবে।
একনাথ শিন্ডের শপথ নেওয়ার পর মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে রীতিমত বড় পরিবর্তন হয়েছে। একনাথ শিন্ডেকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। সূত্রের খবর আগামী শনিবার ও রবিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। প্রথম দিনই মহারাষ্ট্রের স্পিকার নির্বাচন হবে। কারণ ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেসে নানা প্যাটেল। তাঁর পদটি ফাঁকা রয়েছে।
এদিন বিকেল বেলাতেই একনাথ শিন্ডে যে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে তা ঘোষণা করে দিয়েছিল বিজেপি। প্রথমে ঠিক ছিল দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মন্ত্রিসভার সদস্য হবে না। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি অবশ্য বলেছেন উপরতলার নির্দেশেই তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন এই আশঙ্কায় আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরের। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
৫৮ বছরের একনাথ শিন্ডে জীবন শুরু খরেন অটোচালক হিসেবে। কিন্তু এখন রাজনীতির মারপ্যাঁচের জেরে তাঁরই হাতে থাকবে মহারাষ্ট্র সরকারের স্টিয়ারিং। অথচ উদ্ধব ঠাকরের বাবা বালাসাহেব ঠাকরেই ছিলেন একনাথ শিন্ডের রাজনৈতিক গুরু। একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রের সাতারার বাসিন্দা। ছাত্র রাজনীতিতেই হাত পাকিয়েছিলেন তিনি। আদর্শ ছিল বালাসাহেব ঠাকরে। রাজনীতি করার জন্য তিনি সাতারা ছেড়ে চলে আসেন শিবসেনার মূল ঘাঁটি ঠানেতে। যদিও উদ্ধব ঠাকরের ঘুম ছুটিয়ে দিয়ে একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন তিনি এখনও বিজেপির সঙ্গে সরাসরি হাত মেলাননি। বালাসাহেবের আদর্শই তাঁর আদর্শ। তিনি বলেছেন বালাসাহেবের থেকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি শেখা উচিৎ।