সংক্ষিপ্ত
করোনা (COVID 19) সংক্রমণের আবহেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ( Assembly elections) ভোটের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
করোনা (COVID 19) সংক্রমণের আবহেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ( Assembly elections) ভোটের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টেয় সাংবাদিক বৈঠকে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand Legislative Assembly election), মণিপুর এবং গোয়ার বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলেন। ভোট হবে কোভিড বিধি মেনে, রাখা হবে বিশেষ নজরদারি, শেষ দুবছর বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে নির্বাচন করা, কমিশনের কথায়- এটা আমাদের দ্বায়িত্ব সকলের সুরক্ষার প্রতি নজর রাখা, গোটা দেশ এখন কোভিডের সঙ্গে লড়াই করছে। এই অবস্তায় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এবারের নির্বাচনের মূল লক্ষ্য তিন- করোনা ফ্রি নির্বাচন, সুস্থ ভোটের পরিবেশ, সর্বাধিক ভোটার নির্বাচন।
২০২২ সালে উত্তরাখণ্ডে নির্বাচন হতে চলেছে- উত্তরাখণ্ডে একটি ফেসেই নির্বাচন, ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার, নির্বাচন, ২১ মনোনয়ন পত্র জমা শুরু, ২৮ তারিখ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ, ২৯ তারিখ তা স্ক্রুটিনি করা হবে, ৩১ তারিখ নাম তুলে নেওয়ার শেষ দিন। এবার প্রতিটা বুথকে যত্নসহকারে সম্পূর্ণভাবে স্যানিটাইজ করা হবে। করোনার জন্য এবার একঘণ্টা সময় বাড়িয় দেওয়া হবে, যাতে ভিড় এরানো যায়।
আরও পড়ুন- EC Announces 5 State Assembly Elections Date-Live Updates: ঘোষণা হচ্ছে ৫ রাজ্যে ভোটের
শেষ হওয়া নির্বাচনে উত্তরাখন্ড রাজ্যের ৭০টি আসনে লড়াই চলেছিল ২০১৭ সালে, যার মধ্যে বিজেপি ৫১টি আসনে জয় তুলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। এই জয় পেতে কমপক্ষে ৩৬টি আসনে জয়ী হত হতো। এই রাজ্যে কংগ্রেস এককভাবে ১৫টি আসনে জয় পেয়েছিল। তবে ২০১৭ সালে একটি আসনও পায়নি বিএসপি। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে চারটি আসন। পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, মণিপুর ও গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছিল ৮ মার্চ, ২০১৭৷ ১১ মার্চ নির্বাচনের ফল সামনে আসাতেই নজরে আসে বিজেপির জয়।
উত্তরাখন্ডে এবার কংগ্রেসের হারের পেছনে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারাই অনেকখানি ভূমিকা রেখেছিল। নির্বাচনের আগে কংগ্রেস নেতা নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি দল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এতে নির্বাচনী ফলাফলে বেশ কিছুটা প্রভাব চোখে পড়ে, তবে প্রথমটায় কংগ্রেস এতটা হার আশা করেনি, এই তিওয়ারিকে দিয়েই উত্তরাখন্ডে জয় তুলে নিয়েছে বিজেপি। তিওয়ারি তিনবার উত্তর প্রদেশ ও একবার উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।