সংক্ষিপ্ত

বান্দিপোরা পুলিশ এবং ২৬ আসাম রাইফেলসের একটি যৌথ দল এই অভিযানে রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। এই এলাকায় আরও কয়েকজন জঙ্গি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের আলুসা বান্দিপোরার জেটসুন বনাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়েছে। সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেনার গুলিতে একজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এনকাউন্টার চলছে এবং বান্দিপোরার চুনপাথরি এলাকায় চলছে অপারেশন দৃশ্যমান। বান্দিপোরা পুলিশ এবং ২৬ আসাম রাইফেলসের একটি যৌথ দল এই অভিযানে রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। এই এলাকায় আরও কয়েকজন জঙ্গি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালানো হয়

এর আগে রবিবার, জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে জঙ্গি হামলার আরেকটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, জঙ্গিরা রবিবার বাজারের একটি জনাকীর্ণ এলাকায় গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আধিকারিকদের মতে, জঙ্গিরা টিআরসির কাছে একটি জনাকীর্ণ বাজারে একটি গ্রেনেড ছোঁড়ে, যার ফলে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল।

নিরাপত্তা বাহিনীও এখন তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে

জঙ্গি হামলার ক্রমবর্ধমান ঘটনা শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই নয়, পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ভয় ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি করেছে। এসব হামলার মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু এ ধরনের ঘটনা এলাকায় উত্তেজনার পরিবেশ রয়েই গিয়েছে।

কাশ্মীরের মানুষ মূল স্রোতে যুক্ত হচ্ছে। তারা দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে ধীরে ধীরে সংযুক্ত হচ্ছেন। সেটা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া হোক বা সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে একমত হওয়া। সর্বত্র কাশ্মীরিরা দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। কাশ্মীরের জনগণ নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট দিয়ে নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে প্রমাণ করেছে। কিন্তু কাশ্মীরের এই পরিবর্তন ভালো নজরে দেখছে না পাকিস্তান। কাশ্মীরিদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শ্রীনগরে জঙ্গি হামলার বৃদ্ধিই এর একটি বড় কারণ। শুধু তাই নয়, জঙ্গি ঘটনায় স্থানীয়দের অনুপস্থিতিও পাকিস্তানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।