সংক্ষিপ্ত

সুপ্রিম কোর্টে VVPAT সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যই নির্বাচন কমিশন জমা দিয়েছে। এই সংক্রান্ত বেঞ্চের কাছে যা যা প্রশ্ন ছিল তারও জবাব পেয়েছে।

 

ভোটার ভেরিফাইয়েবল পেপার অডিট ট্রেইল বা VVPAT যাচাইকরণ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে তারা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তবে সমস্ত ভোটের বুথে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখা নিয়ে কোনও রায়ই দিল না সুপ্রিম কোর্ট। তবে সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়ে নির্বাচন কমিশন সন্দেহ দূর করেছে।

ইভিএম-এ ভোট পড়া সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাজগ মিলিয়ে দেখার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১০০ টিরও বেশি আর্জি জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ছিল বিরোধী দলের আর্জিও। দাবি ছিল ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবে হচ্ছে কিনা তা দেখা বোঝার জন্যই এই প্রত্রিয়া চালু হওয়া প্রয়োজন। ইভিএম ভোট দেওয়ার পরে সেই ভোট সঠিক জায়গায় পড়ল কিনা তা দেখিয়ে দেয় ভিভিপ্যাট। ভোট দেওয়ার সাত দিনের মধ্যে একটি কাগজ প্রার্থীর নাম প্রতীক-সহ বেরিয়ে আসে মেশিন থেকে। তবে সেই কাজহ প্রার্থীদের হাতে যায় না। জমা হয় একটি পাত্রে। এতদিন নিয়ম ছিল প্রতিটি এলাকা থেকে বেছে বেছে পাঁচটি বুথে এই সিস্টেম থাকবে। তবে বিরোধীরা দাবি করেছিল প্রতিটি বুথেই এই সিস্টেম চালু করার। গত এক বছর ধরে এই মামলা চলছিল। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ মামলার শুনানি হয়।

সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে চারটি প্রশ্ন করেছিল। প্রশ্নগুলি হল-

১। সমস্ত ভিবিপ্যাটেই কি মাইক্রো কন্ট্রোলার ইনস্টল করা আছে?

২। এই মাইক্রো কন্ট্রোলারকে কি এক বারই প্রোগ্রাম করা যায়?

৩। নির্বাচন কমিশনের কাছে কতগুলি সিম্বল লোডিং ইউনিট রয়েছে?

৪। নির্বাচনী হলফনামা জমা দেওয়ার সময় ৩০ দিন। আর সমস্ত রোকর্ড ৪৫ দিন পর্যন্ত মজুত করা থাকে। তাই রেকর্ড মজুত করার সময় আরও বাড়ানো উচিৎ।

আদালত জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যই নির্বাচন কমিশন জমা দিয়েছে। এই সংক্রান্ত বেঞ্চের কাছে যা যা প্রশ্ন ছিল তারও জবাব পেয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'আমরা বাাস্তব ভুলতে চাই না। তবে আমাদের ফলাফল সম্পর্কে আমরা দ্বিগুণ নিশ্চিত হতে চাই সেইজন্যই আমরা ব্যাখ্যা চাওয়ার কথা ভেবেছিলাম।'