Donald Trump: ব্যক্তিগত স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে পাকিস্তানের প্রতি নরম হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনই দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভ্যান (Jake Sullivan)।

DID YOU
KNOW
?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। তিনি এখন পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা করছেন।

USA Tariffs on India: ভারতীয় পণ্যের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভ্যান (Former USA NSA Jake Sullivan)। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের সঙ্গে ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। সেই কারণেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছেন তিনি। জো বাইডেন (Joe Biden) মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন সালিভ্যান। ফলে তাঁর এই দাবি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন ট্রাম্প। তাঁর বিদেশনীতিরও তীব্র সমালোচনা করেছেন সালিভ্যান। তিনি এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘গত কয়েক দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যে দলেরই হোন না কেন তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করেছেন। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। ভারত এমন এক দেশ যাদের সঙ্গে প্রযুক্তি, প্রতিভা, অর্থনীতি নিয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে চিনের মোকাবিলা করা উচিত। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশনীতি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে।’

পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা নিয়ে ট্রাম্পকে তোপ সালিভ্যানের

ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলা নিয়ে ট্রাম্পকে আক্রমণ করে সালিভ্যান বলেছেন, ‘এখন পাকিস্তান ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই কারণেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে আর গুরুত্ব দিচ্ছেন না ট্রাম্প। এটা কৌশলগত দিক থেকে বড় ধাক্কা। কারণ, ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলেই আমাদের পক্ষে ভালো হত।’

পাকিস্তানে ব্যবসা ট্রাম্প পরিবারের

পহেলগাঁওয় জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) কয়েকদিন পরেই পাকিস্তানের ক্রিপ্টো কাউন্সিলের (Pakistan Crypto Council) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্রাম্প পরিবার। এরপরেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের (Nobel Peace Prize) জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করেছে পাকিস্তান। ফলে সালিভ্যান যে দাবি করেছেন, ঘটনাক্রম সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।