সংক্ষিপ্ত

  • কৃষি আইন নিয়ে শুনানি সুপ্রিম কোর্টে 
  • কমিটি নিয়ে মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি 
  • কমিটিকে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি 
  • শুধু রিপোর্ট করার ক্ষমতা ছিল প্যানেলের 

নতুন কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের কথা শোনা আর কেন্দ্রের সঙ্গে মধ্যস্থতার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই কমিটি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আন্দোলনকারী কৃষকরা। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা কমিটি নিয়েই মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। তিনি বলেন, কমিটির সদস্যদের কোনও বিষয় বিচার করার বা সিন্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। কমিটির সদস্যরা শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টকে রিপোর্ট করতে পারবে। তাহলে পক্ষপাতের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট উষ্মা প্রকাশ করেছে। বলেছে আপনি কমিটিতে হাজির হওয়ার আগেই কাউকে দোষারোপ করতে পারেন না। কারও ওপরে কোনও তকমাও লাগেতে পারেন না। অনুমানের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের ওপর কোনও কিছু নিক্ষেপ করা ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। 

 



সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, কৃষকদের কথা শুনে তাঁদের কাছে রিপোর্ট করার কথাই বলা হয়েছিল কমিটির সদস্যদের। এখানে পক্ষপাতিত্বের কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। অন্যদিকে কিষান মহাপঞ্চায়েতের পক্ষে উপস্থিতি অ্যাডভোকেট সুপ্রিম কোর্টকের কাছে কমিটির পুর্নগঠনের দাবি জানিয়েছে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের তৈরি কমিটি ইতিমধ্যেই এক সদস্য পদত্যাগ করেছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে তাঁরা যে কমিটি তৈরি করেছিলেন তাঁরা কৃষি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। কিন্তু কমিটি নিয়ে বোধগম্যতার একটি অদ্ভুত অভাব তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন  জনসাধারণ ও কৃষকদের স্বার্থেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। 

'গুলি করতে পারে কিন্তু ছুঁতে পারবে না ', জেপি নাড্ডার প্রশ্নে উত্তরে বললেন রাহুল গান্ধী ...

'ছুটি কাটিয়ে ফিরেই' নাড্ডার প্রশ্নের সামনে রাহুল গান্ধী, চিন আর কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন ...
প্রসঙ্গত গত ১২ জানুয়ারি নতুন তিনটি আইনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে একটি কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয় কমিটিকে। কিন্তু পরের দিনই এক সদস্য পদত্যাগ করে। কিন্তু কমিটি নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল কৃষকরা। কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেই এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।