Fighter Jets: আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়ার পথে এবার ভারত। বিষয়টা ঠিক কী?
Fighter Jets: ভারতের প্রতিরক্ষাশিল্পের ইতিহাসে এই প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করার উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। পোশাকি নাম হল ‘অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট’ (এএমসিএ)।
সোমবার, এই সংক্রান্ত একটি ‘প্রোগ্রাম এগ্জ়িকিউশন মডেল’ অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড’ (হ্যাল)-এর পাশাপাশি এএমসিএ নির্মাণের বরাত পেতে এবার বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও দরপত্র দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
চিনের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘জে-১০সি’-কে মোকাবিলা করার জন্যই দ্রুত এএমসিএ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘দ্য প্রিন্ট’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, আগামী ২০৩১ সালের মধ্যেই পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নির্মাণ এবং আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছেন, ‘অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’ (এডিএ) শিল্প অংশীদারির মাধ্যমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আমরা প্রস্তুত।"
চুক্তি অনুযায়ী চতুর্থ প্রজন্মের হালকা ‘মাল্টি রোল সুপারসনিক’ তেজস যুদ্ধবিমান সঠিক সময় মতো সরবরাহ করতে হ্যাল ব্যর্থ হয়েছে বলে ঠিক কয়েকমাস আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন বায়ুসেনা প্রধান তথা এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিংহ। এবার সেই আবহে হ্যালের পক্ষে সময়সূচি মেনে এএমসিএ নির্মাণ সম্ভব কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
এবার এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, অংশীদারির ভিত্তিতে প্রকল্পের বরাত বণ্টন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘স্বাধীনভাবে কিংবা যৌথ উদ্যোগে অথবা কনসোর্টিয়াম হিসাবে দরপত্র জমা দেওয়া যেতে পারে।’’
সাধারণত, এতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালই একচেটিয়াভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে সামরিক বিমান এবং হেলিকপ্টার নির্মাণের বরাত পেয়ে এসেছে। এবার টাটা, আদানি বা ‘এল অ্যান্ড টি’র মতো সংস্থার সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতায় নামতে হতে পারে বলে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পঞ্চম প্রজন্মের ওই যুদ্ধবিমানটিতে শত্রুপক্ষের রাডার নজরদারি ফাঁকি দেওয়ার ‘স্টেলথ্’ প্রযুক্তি সংযোজিত থাকবে এবং ইঞ্জিন তৈরির জন্য ফ্রান্সের একটি সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও চলছে।
গোটা প্রকল্পটির নজরদারির দায়িত্বে থাকবে ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা’ (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন বা ডিআরডিও)।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


