লকডাউনের প্রথম মেয়াদে ১ লক্ষ ৭০ কোটির আর্থিক প্যাকেজ অর্থনীতিকে সচল রাখতে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার আরও একবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার সপ্তাহ খানেক আগেই এই বিষয়ে আলোচনা হয়ে গিয়েছে

লকডাউনের ধাক্কায় বেলাইন অর্থনীতিকে সঠিক রাস্তায় ফেরাতে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। যদিও ভারতের মত বিপুল জনসংখ্যার দেশে তা সামান্যই। সেই প্যাকেজ ঘোষণার পরও দু'বার বেড়েছে লকডাউনের মেয়াদ। জনগণ আশা করে থাকলেও কেন্দ্রের তরফে নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়নি। দেশের একটা বড় অংশের মানুষই এখন পেটের দায়ে অপেক্ষা করছেন সরকারের আর্থকি প্যাকেজর জন্য। শোনা যাচ্ছে, সেই অপেক্ষার নাকি এবার অবসান ঘটতে চলেছে। সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই ঘোষিত হবে মোদী সরকারে দ্বিতীয় আর্থিক প্যাকেজ। 

আজ রাতে ফের মোদীর ভাষণ, এবার জনতার উদ্দেশ্যে কী বলতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী

১৭ মের পর কী চান রাজধানীর মানুষ, দিল্লিবাসীর কোর্টেই এবার বল ঠেলে দিলেন কেজরি

স্পর্শ ছাড়াই অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে জীবাণুমুক্ত মোবাইল ও টাকা, যন্ত্র বানিয়ে তাক লাগাল ডিআরডিও

অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, সরকার সব সেক্টরকেই পরিকল্পিতভাবে এই প্যাকেজের আওতায় আনতে চাইছে যাতে সীমিত ক্ষমতাকেই পুরোপুরি ব্যবহার করা যায়। তবে প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে গ্রামীণ অর্থনীতি, অসংগঠিত ক্ষেত্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং সেইসব বড় শিল্পক্ষেত্র যা সরাসরি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। সপ্তাহখানেক আগেই এই বিষয়ে যাবতীয় আলোচনা হিসেব নিকেশ সারা হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসের ২ তারিখ এই নিয়ে শীর্ষস্তরে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেখানেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এই বৈঠকে প্যাকেজে থাকা প্রস্তাবগুলি পাশ করিয়ে নেওয়া হতে পারে। তারপরেই ঘোষণা করা হবে দ্বিতীয় আর্থিক প্যাকেজ। ফিনান্সিয়াল রিলিফ প্যাকেজ দেওয়া হবে, গত শুক্রবারই এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে ইজ্ঞিত দেওয়া হয়। এদিকে দ্বিতীয় আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গেও অর্থমন্ত্রী বৈঠক করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এবারের আর্থিক প্যাকেজের পরিমাণ ৩ লক্ষ কোটি টাকা হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি অন্যান্য মন্ত্রিরাও নিজ নিজ মন্ত্রকের জন্য আর্থিক পুনর্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

এদিকে সোমবার সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পরেই কেন্দ্র থেকে রাজ্যের ভাঁড়ারে আসছে প্রায় ৪১৭ কোটি টাকা। শুধু বাংলা নয়, মোট ১৪ টি রাজ্য কেন্দ্রের রাজস্ব ঘাটতির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা পাচ্ছে কেন্দ্রের থেকে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের পরপরই ট্যুইটারে একথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

অর্থমন্ত্রী রাতে ট্যুইট করে জানান, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে ১১ মে রাজ্যগুলিকে প্রায় ৬ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজস্ব ঘাটতি বাবদ। এর মধ্যে বাংলা পেয়েছে ৪১৭ কোটি ৭৫ লক্ষ। বাংলার পাশাপাশি উপকৃত হয়েছে আরও ১৩টি রাজ্য। সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে কেরল। রাজস্ব ঘাটতি বাবদ কেরল পেয়েছে প্রায় ১,২৭৬ কোটি টাকা। পঞ্জাব পেয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকা। বাংলা পেয়েছে ৪১৭ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। এছাড়া এই আর্থিক প্যাকেজে উপকৃত হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, হিমাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিও।

Scroll to load tweet…

গত মাসেও একইভাবে রাজস্ব ঘাটতি বাবদ বাংলাকে ৪১৭ কোটি ৭৫ লক্ষ দেয় কেন্দ্র। সেবার রাজস্ব ঘাটতির পাশাপাশি কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে রাজ্যের প্রাপ্য থেকেই ৫০৪ কোটি ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বাংলাকে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গত মাসে কেন্দ্রের কাছে প্রায় ৯২৩ কোটি টাকা পায়।