সংক্ষিপ্ত
জম্মুর বিস্তৃর্ণ এলাকায় পরপর পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কিন্তু এই কম্পনের জেরে সম্পত্তির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবরও পাওয়া যায়নি।
বুধবার পরপর পাঁচটি ভূমিকম্প কেঁপে উঠল জম্মু অঞ্চল। মঙ্গলবার কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ডোডা জেলায় ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। তারপর বুধবারের কম্পনের পরই গোটা এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অস্বস্তিতে পড়েন। এই অবস্থায় ডোডা ও কিশতওয়ার - দুটি জেলায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, জম্মুর বিস্তৃর্ণ এলাকায় পরপর পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কিন্তু এই কম্পনের জেরে সম্পত্তির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবরও পাওয়া যায়নি।
পাঁচ ভূমিকম্পঃ
ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছেন, ডোডা জেলায় সকাল ৭টা ৬৫ মিনিটে ৩.৫ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছিল। এই কেন্দ্র ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। কশতওয়ার জেলায় সকাল ৮ টা ২৯ মিনিটে ৩.৩ মাত্রার ভূমিকল্প রেকর্ড করা হয়েছে। মাঝরাতে আরও দুটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছ। এটি রাত ২টো ২০ মিনিটে। মাত্রা ছিল ৪.৩। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নিতে। অন্যদিকে কাটরা থেকে ৭৪ কিলোমিটার দূরে রিয়াসি জেলায় রাত ২টো ৪৩ মিনিটে ২.৮ মাত্রা কম্পন অনুভূত হয়। বুধবার বিকেল ৪টে কিশতওয়ার জেলা.য় ৩.৪ মাত্রা কম্পন হয়। এটির কেন্দ্র ছিল মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে।
প্রশাসনের আর্জি
স্থানীয় প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের অযোথা আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয়দের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে আফটার শকের পরিপ্রেক্ষিতে জেলার সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। একটি বড় ভূমিকম্পের পর আফটার শকের কারণেই এই ঘটনা ঘটছে বলেও অনুমান করছে প্রশাসন। তবে মঙ্গলবার যে ভূমিকম্প হয়েছিল তা যথেষ্টই ভয়ঙ্কর ছিল। বেশ কয়েকটি বাড়়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তাও নষ্ট হয়েছে। দুই স্কুল পড়ুয়া আহত হয়েছে। তাই দ্রুত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও কম্পন অনুভূত হয়।
২০১৩ সালে জম্মু কাশ্মীর সবথেকে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই সময় টানা ৭০ দিন ধরেই পার্বত্য এই রাজ্য কম্পনের মুখোমুখি ছিল। এনসিএস জানিয়েছে গত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ডোডা জেলায়র একাধিকবার ছোটছোট কম্পন অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু কারণ এখনও অধরা। তবে বর্তমানে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ
ডিম আগে না মুরগি আগে? প্রাচীন এই জটিল ধাঁধার সহজ সমাধান দিলেন বিজ্ঞানীরা
আজবকাণ্ড! এক প্লেট মোমেতেই খুলে গেল রহস্যের জট, মৃত ব্যক্তিকে জীবত পাওয়া গেল ভিনরাজ্য