সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় যোগদান পর্ব সম্পন্ন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং মন্ত্রী মলয় ঘটক। প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক-সহ অন্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তাঁরা।
ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের কর্মীদের হোটেলে বন্দি করে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ত্রিপুরা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার পর এবার তৃণমূলের নজরে রয়েছে ত্রিপুরা। সেখানে নিজেদের জমি মজবুত করতে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে সেখানে 'খেলা' শুরুও হয়ে গিয়েছে। আজ সন্ধেয় কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক সহ কংগ্রেসের প্রায় ৪০ জন নেতা-কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে।
আরও পড়ুন- বৈঠকের আগে আগরতলার হোটেলে পুলিশ, 'আমরা কি জঙ্গি', প্রশ্ন ডেরেকের
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় যোগদান পর্ব সম্পন্ন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং মন্ত্রী মলয় ঘটক। প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক-সহ অন্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তাঁরা। সুবল ভৌমিকের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ চন্দ্র দাস, পান্না দেব, প্রেমতোষ দেবনাথ, বিকাশ দাস, তপন দত্তর মতো নেতারা।
পাশাপাশি ২০২৩-এর নির্বাচনের আগে সেখানে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে তৎপর তৃণমূল। এবার ত্রিপুরায় চালু করা হয়েছে তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল। একথা জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু নিজেই। যাবতীয় কর্মসূচির কথা জানানো হবে এই সাইটে।
আরও পড়ুন- এবার থেকে বাংলাতেই পড়া যাবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স, বিশেষ ঘোষণা নরেন্দ্র মোদীর
তৃণমূলের লক্ষ্য ২০২৩। হাতে বেশ খানিকটা সময় থাকলেও এখন থেকেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব। এখন থেকেই সেখানে নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। তৃণমূলের জমি পরখ করতে কয়েকদিন আগেই সেখানে যান প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার ২৩ জন সদস্য। এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের ত্রিপুরার হোটেল 'বন্দি' করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পরে তাঁদের সবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সূত্রের খবর, আইপ্যাকের কর্মীদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ত্রিপুরা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। ১ এবং ২ অগাস্ট তাঁদের আগরতলা থানায় (পূর্ব) তলব করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে মামলা। পুলিশের এই মামলার উপর ভিত্তি করে আগাম জামিন নিয়েছেন টিম পিকের কর্মীরা। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও তাঁদের হোটেলে আটকে রাখার বিষয়টি 'অগণতান্ত্রিক' বলে দাবি করেছে মলয় ঘটক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে ত্রিপুরায়।
আরও পড়ুন- ছাতা খুলতে গিয়ে নাজেহাল বরিস জনসন, তাঁর কীর্তি দেখে হাসির রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়
এরই মধ্যে আজ আগরতলার একটি হোটেলে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। কয়েকদিন আগেই সেই হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েট বুক করে রাখা হয়েছিল দলের তরফে। কিন্তু, আজ বৈঠক শুরুর আগে হঠাৎই সেখানে হাজির হয় পুলিশ। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই ধরনের বৈঠকের অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। তৃণমূলের অভিযোগ, কারা বৈঠক ডেকেছে, কতজন উপস্থিত থাকবেন তা জানতে চাওয়া হয়।